কলকাতা : তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পরই অগ্নিগর্ভ রামপুরহাটের বকটুই গ্রাম। অন্তত ১০টি বাড়িতে আগুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, উপপ্রধানের খুনের পর এলাকায় তাণ্ডব চালায় তাঁর অনুগামীরা।
মৃতের সংখ্যা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দমকলের দাবি, ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার মধ্যে ২ শিশু ও ৬ মহিলা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্যের বিরোধীরা। এই ঘটনার পিছনে কারণ ঠিক কী, তা তদন্ত করতে সিট গঠন করা হয়েছে নবান্নে জরুরি বৈঠকের পরই।
'শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার উদ্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো'
এরপর বীরভূমের রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ' রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে দ্রুত। এরপরও রাজ্যপালের তরফে একটি অনভিপ্রেত ট্যুইট ও কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের ভাষণ দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র করেই প্রথমে ভাদু শেখকে হত্যা ও পরে রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করে করা হয়েছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার উদ্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো। '
তিনি সকালে টুইটারে লেখেন, ' রামপুরহাটের ঘটনায় OC-কে ক্লোজ করা হয়েছে। অপসারিত করা হয়েছে SDPO-কে। গঠন করা হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিং, মীরাজ খালিদ ও সঞ্জয় সিং-কে নিয়ে ৩ সদস্যর সিট। যথাযথ তদন্ত হবে। দুর্ঘটনা, না আগের খুনের প্রতিক্রিয়া, না ষড়যন্ত্র, সবটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই। '
কুণাল ঘোষের ট্যুইট
সেইসঙ্গেই তিনি আরেকটি ট্যুইটে লেখেন, ' রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যু। দুঃখের। অবাঞ্ছিত। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ।'
অন্যদিকে, বীরভূমে রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যুর ঘটনায় আজ বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। প্রশ্নোত্তরপর্ব শেষের পর বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। এরপর এ নিয়ে হই হট্টগোলের মধ্যে তাঁরা ওয়াকআউট করেন। বিধানসভা কক্ষের বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা।