নান্টু পাল, রামপুরহাট: দীর্ঘ চার মাস পর, বগটুইয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত, স্বজনহারা গ্রামবাসীরা। আগুনে 9Fire) পুড়ে যাওয়া বাড়ি সারিয়ে, ফিরে আসেন তাঁরা। গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui Update) গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় দশজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী।  সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। তা দিয়েই ঘর বাড়ি সারায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তবে, এই টাকা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের।


নিজেদের বাড়িতে ফিরলেন স্বজনহারা গ্রামবাসীরা:  ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই রাতের ঘটনা এখনও যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অগ্নিকাণ্ডের ৪ মাস পর বাড়িতে ফিরলেন রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ স্বজনহারা মিহিলাল শেখ , শেখ লাল শেখরা। বাড়িতে ফিরতে পেরে খুশি হলেও পুরনো স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে। যদিও এখনও অনেকেই ফিরতে পারেননি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বগটুই গ্রাম।


বাড়ি ফিরে কী প্রতিক্রিয়া গ্রামবাসীদের? প্রসঙ্গত, এবছরে ২১ মার্চ রাতে খুন হয় রামপুরহাট বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর ওই গ্রামে একের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহতও হন অনেকেই। ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করে সরকার। সেই টাকা দিয়েই বাড়ি সারিয়ে ফিরলেন স্বজনহারারা। গতকাল রাতে নিজেদের বাড়িতে ঢোকেন মিহি লাল শেখ, শেখ লাল শেখ, ফটিক শেখ।  মিহিলাল বলেন, "আমরা প্রায় ৪ মাস পর বাড়ি ফিরলাম। এখনও  অনেকেই বাড়ি ঠিকঠাক করছে। বাড়ি ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। কিন্তু যাঁদের হারিয়েছি, তাঁরাও এই বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের আর কোনওদিন দেখে পাব না। সেই কষ্ট থেকেই যাচ্ছে।'' তাঁর কথায়,  "রাজ্য সরকার যে টাকা দিয়েছিল, তা থেকে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। তাই সহযোগিতার আবেদন করছি।''  শেখ লাল শেখ বলেন, "২১ মার্চ অভিশপ্ত রাত থেকে আমারা বাড়ি ছাড়া ছিলাম। অনেক কষ্টে দিনগুলো কাটিয়েছে। যেহেতু তদন্তের কারণে বাড়ি ফিরতে দেরি হল। তবে মনের মধ্যে এখনও ভয় আছে।''


আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty:“কে বলতে পারে এখানেও তেমনটা হবে না!’’ উদ্ধব সরকারের পতন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুনের