কলকাতা: 'দস্যু রত্নাকর বাল্মীকি হয়েছিলেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। 'একবার যে রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে, সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না', মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। 'কমিশন তার পরিজনদের ত্যাগ করেছে, তারা এখন সিবিআই-ইডি হেফাজতে। এই অপরাধে আপনাদের ভূমিকা কী সেটা দেখুন।' নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের আইনজীবীর উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতির।


নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগেও চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নম্বর সংক্রান্ত গড়মিলের কারণে। সেই তালিকাও বানানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। সেইভাবে কাজও শুরু হয়েছে। পরে ফের এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেই যে শিক্ষকদের নাম ওই তালিকাগুলিতে রয়েছে। তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের দাবি জানানোর জন্য। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই এমন প্রসঙ্গ উঠেছে।


SSC বাল্মীকি:
'আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন'। কমিশনের উদ্দেশে বার্তা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।


এর আগে:
সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি। শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ফের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ১৯১১টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ১৪৪৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ। ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১৪৪৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। 'যদিও ওয়েটিং লিস্টের তালিকাও চূড়ান্ত নয়, পরিবর্তন হতে পারে তালিকা'। ওয়েটিং লিস্টেও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে এসএসসি (School Service Commission)।


অন্য়দিকে, গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার তদন্তে, সিবিআই আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা-ও চোখ কপালে তোলার মতো! তাতে দেখা যাচ্ছে, মেধাতালিকায় প্রথম দশজনেরই প্রাপ্ত নম্বর শূন্য় ! অর্থাৎ যাঁদের নিয়োগ তালিকারই বাইরে যাঁদের থাকার কথা, তাঁরাই মেধাতালিকার শীর্ষে! গাজিয়াবাদে OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্কে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রত্য়েকে সাদা খাতা জমা দিয়েছেন! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মেধা তালিকায় প্রথম দশে থাকা প্রার্থীরা রোল নম্বর, ভেন্যু কোড এবং বুকলেট সিরিয়াল ছাড়া OMR শিটের আর কোথাও কালির আঁচড়টুকুও কাটতে পারেনি! উত্তর দেওয়ার অংশ পুরোটাই ফাঁকা!সিবিআইয়ের দাবি, দুর্নীতির জাদুবলে OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার সার্ভারে শূন্য পাওয়া। এইসব প্রার্থীদের নম্বরই এসএসসির সার্ভারে বেড়ে হয়ে গেছে ৪৩! এই পরিস্থিতিতে অযোগ্য়দের চাকরি হারানো এবং যোগ্য়দের নিয়োগের খবরে আশায় বুক বাঁধছেন দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা।


আরও পড়ুন: এজলাসে বসে কথা, মানিকের স্ত্রী-ছেলেকে ধমক বিচারকের