দীপক ঘোষ, তুহিন অধিকারী ও সোমনাথ মিত্র, কলকাতা: দিলীপ ঘোষ যে রেজাল্ট দিয়েছেন, তাঁকে আরও ৩ বছর রাখা উচিত ছিল। জোড়া উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর, যখন দিকে দিকে বিজেপিতে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে, তখন এই মন্তব্য করলেন সিঙ্গুরের বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। 


জোড়া উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপির অন্দরে এখন বিদ্রোহের আগুন! ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকেই। সরব হচ্ছেন বিজেপির সাংসদ-নেতারাও। নিচুতলাতেও বিদ্রোহের সুর। সিঙ্গুরের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি ও বিজেপি নেতা সুকান্ত বর্মন বলেন, "আমরা জানি যে অপরিপক্ক একজন নেতাকে রাজ্যে বসালে যে ব্যাপারটা হয়, ঠিক সেই জায়গাটা হচ্ছে তার ফল আমাদের গুণতে হচ্ছে। সুকান্তবাবু ভাল লোক, কিন্তু হলে কী হবে, তিনি যে গঠনতন্ত্রটা করেছেন, যে স্ট্রাকচারটা রাজ্যের করেছেন, এই স্ট্রাকচার দিয়ে যা হওয়ার তাই হচ্ছে, দিলীপদা যে আমাদের সভাপতি ছিলেন, আমার মনে হয় দিলীপদা যে রেজাল্ট দিয়েছেন, তাকে আরও ৩ বছর রাখা উচিত ছিল।


আরও পড়ুন, মৃত্যুর আগেই মামাকে কবর দেওয়ার তোড়জোড় ভাগ্নের, রান্নাঘরে খোঁড়া হল গর্ত!


তমালকান্তি গুঁই, বাঁকুড়ায় বিজেপির পাত্রসায়র ২ নম্বর মণ্ডলের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি তাঁর দাবি, তিনি দলের জন্য জেল খেটেছেন, কিন্তু সংগঠনে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। যার প্রতিবাদে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন তমালকান্তি।                                                     


এর মধ্যেই, মুর্শিদাবাদেও ফের সামনে এসেছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে, এভাবেই তাণ্ডব চালানো হয় বিজেপির পার্টি অফিসে। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে, তাঁর অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির একাংশ।


পুরনোদের ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগে, এদিন বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান সংখ্যালঘু মোর্চা ও শিক্ষক সেলের কয়েকজন সদস্য।