কলকাতা: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করার দাবি তুলছে বিজেপি (BJP)। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) এগিয়ে আনা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। এবার সেই আশঙ্কা আরও উস্কে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জানালেন, ফেব্রুয়ারির শেষেই লোকসভা নির্বাচন হয়ে যাবে। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।


উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি লোকসভা নির্বাচনের আগে তার ফলাফল প্রকাশিত হবে না। তাঁর বক্তব্য, "পরীক্ষা কবে ৮ ডিসেম্বর। লোকসভা নির্বাচনের আগে রেজাল্ট বেরোবে না। ফেব্রুয়ারির শেষে লোকসভা নির্বাচন হবে। রেজাল্ট বেরোবে না।"


উচ্চ প্রাথমিকে চাকরির পরীক্ষা ফি বাবদ রাজ্য সরকার টাকা তুলছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। বলেন, "চাকরি হবে না, লুঠ হবে। জানতে পেরেছি, ৫০০ টাকা করে পরীক্ষার ফি নিচ্ছে। ২৭ কোটি টাকা তোলা হচ্ছে। পরীক্ষায় খরচ হবে ২ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারির শেষে লোকসভা নির্বাচন হবে। রেজাল্ট বেরোবে না। ২৭ কোটি টাকা তুলছে। পরীক্ষায় খরচ হবে ২ কোটি। ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর জন্য লড়াই করতে বাকি ২৫ কোটি টাকা সুপ্রিম খরচ করা হবে।"


আরও পড়ুন: Nirmal Chandra Roy: রাজভবনে শপথ নিলেন ধূপগুড়ির জয়ী TMC প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়


পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে, আগে থেকেই জল্পনা চলছে। মমতা ছাড়া নীতীশ কুমারের মুখেও একই আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছে। আবার ২০২৪ সালে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানো হতে পারে বলেও জল্পনা শোনা গিয়েছে। সেই আবহেই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে লোকসভা নির্বাচন হবে বলে জল্পনা উস্কে দিলেন শুভেন্দু। সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন হয়।  তাই লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে নতুন করে জোর পেল জল্পনা।


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি-কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। I.N.D.I.A জোটের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই তড়িঘড়ি ভোট এগিয়ে আনা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, "রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পরই ফেব্রুয়ারি মাসে তড়িঘড়ি লোকসভা নির্বাচন করে দিতে পারেন মোদি, এই জন্যই কি বলা হচ্ছে! ভোট এগনো বা পিছনোর জবাব কিন্তু তাঁকে দিতে হবে।"


২০২৪ সাল থেকেই 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করা হবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলেই। আইন কমিশনের কাছেও সেই নিয়ে প্রশ্ন গিয়েছিল। তারা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে করাতে মেয়াদবৃদ্ধি এবং হ্রাস নিয়ে হিসেব-নিকেশ চলছে। সব ঠিকঠাক এগোলে ২০২৯ সাল থেকে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করা যেতে পারে।