দীপক ঘোষ ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতি থেকে কয়লা, গরুপাচারের অভিযোগ। নানা ঘটনায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি । এই পরিস্থিতিতেই, শাসকদলের বিরুদ্ধে ঝাঁঝ বাড়াতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
৭টি ট্রেন ভাড়া
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার এবং বালুরঘাট স্টেশন, অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়গ্রাম, দিঘা, পুরুলিয়া স্টেশন থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনতে ৭টি ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই ৭টি ট্রেন ভাড়া নিতে খরচ হবে ৭০ লক্ষ টাকা। ট্রেন ছাড়াও প্রতি জেলা থেকে অন্তত ৫টি করে বাসে কর্মী-সমর্থকদের আনতে বলা হয়েছে। এদিকে, গত কয়েক দিনের মতো রবিবারও নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভা করে বিজেপি। নন্দীগ্রাম ও পাণ্ডুয়ায় মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে মিছিল হয়।
মারলে গায়ে দাগ থাকবে, দিলীপের হুমকি
রবিবার তেমনই, বিষ্ণুপুরে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান তুলে মিছিল করে বিজেপি।
মিছিল শেষে, দুর্নীতি ইস্যুতে সভামঞ্চ থেকে চাঁছাছোলা ভাষায়, তৃণমূলকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। BJP র সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার বলেন, ' এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকাবেন না, ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁছবেন না, গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন। মারলে গায়ে দাগ থাকবে। '
খরচ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। TMC র রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ' ১১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বৈদিক আড়াই কোটির চিন্তন বৈঠক দেখেছি। লাভ হয়নি। একইরকম ভাবে নবান্ন অভিযানে এত খরচ করে লাভ হবে না। বাংলার বঞ্চনার টাকা খরচ করছে। '
মঙ্গলবার, বেলা ১২ টায় জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কোন রুটে জমায়েত
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথম জমায়েত হবে কলেজ স্কোয়ারে। সেখান থেকে মহাত্মা গাঁধী রোড ধরে মিছিল পৌঁছবে হাওড়া ময়দানে। যার নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাওড়া ময়দানে আসা দ্বিতীয় মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুপুর ১টায় মিছিল দু’টি হাওড়া ময়দান থেকে যাবে নবান্নর দিকে।
সাঁতরাগাছি থেকে আর একটি মিছিলটি একই সময়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, পুলিশ মিছিল রোখার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ-অশান্তির আঁচ করে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতি মিছিলে ২টি করে অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি থাকবেন চিকিৎসক ও নার্স। এছাড়া মুরলী ধর সেন লেনে বিজেপি কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পাশেই মাহেশ্বরী ভবনে মেডিক্যাল ইউনিট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য বেশকিছু হাসপাতালের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।