অর্ণব মুখোপাধ্যায়, হাওড়া : দুর্নীতি-ইস্যুতে মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই কর্মসূচিতে ভর করে, পালে হাওয়া টানতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার তিন দিক থেকে বিজেপির মিছিল আসবে নবান্নের দিকে।
- কলেজ স্কোয়ার থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন দিলীপ ঘোষ।
- হাওড়া ময়দান থেকে আসা মিছিলের সামনে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার।
- শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে।
লড়াই হবে লড়াই : সুকান্ত
সাত সকালেই জেলা জেলা থেকে এসে পৌঁছচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। হাওড়ায় সকালেই এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তার মধ্যেই যাঁরা হাওড়া এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন সুকান্ত। বললেন, ' চারিদিকে পুলিশ দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ সরকার বিজেপির ভয়ে থরহরি কম্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তাই বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ... লড়াই হবে লড়াই ! '
সকাল সকাল স্টেশনে এসে পৌঁছেছেন সুকান্ত মজুমদার । এসেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মানসিক ভাবে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জেলায় আটকানো হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। কিন্তু বিজেপি উৎশৃঙ্খলতাতে বিশ্বাসী নয়। '
কীভাবে মিছিল রুখতে প্রস্তুতি
বিজেপি যখন মিছিল করে নবান্ন অবধি পৌঁছোতে মরিয়া, তখন পুলিশও মিছিল আটকাতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় রাখা হচ্ছে বাঁশ, গার্ডরেল, অ্যালুমিনিয়ামের ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে প্রথম মিছিল, কলেজ স্কোয়ার থেকে M G রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাওড়া ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড হয়ে এগোনোর কথা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মিছিলকে আটকাতে, হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে থাকবে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড। হাওড়া ময়দানের দিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে আসা মিছিলকে আটকাতে সেখানেই ব্যারিকেড রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যে মিছিল সাঁতরাগাছি থেকে আসবে। সাঁতরাগাছি ব্রিজের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে, তাকে আটকানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ৮টি র্যাম্পের প্রত্যেকটিতে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের জন্য, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের প্রায় দু’হাজার কর্মী মোতায়েন থাকবেন।
- ১৮ জন ডেপুটি কমিশনার
- ৩২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার
- ৬২ জন ইন্সপেক্টর
- ৫ জন জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার
- স্পেশাল পুলিশ কমিশনার-সহ
- একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা দায়িত্বে থাকবেন।
- এছাড়া ৫টি জল কামান , দু’টি বজ্র , এবং কাঁদানে গ্যাসও প্রস্তুত রাখা হবে।
- ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি।