কলকাতা : এক ফোনে বকেয়া টাকার পরে এবার এক ফোনেই সিবিআই (CBI) হানা বন্ধ ? বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশির মধ্যেই সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দাবিতে তোলপাড়। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি বলেছেন, 'যাকে প্রয়োজন তাকে ডাকবে, প্রয়োজন না হলে কেন শুভেন্দুকে ডাকবে। তল্লাশি বন্ধ করতে আমরাও ফোন করতে পারতাম, কিন্তু আমরা এতে বিশ্বাসী নই'।
আর সুকান্ত মজুমদারের যে মন্তব্য সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। সামনে উঠে এসেছে বিরোধীদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের অভিযোগ, 'বিজেপির নেতা সৌমিত্র খাঁ-র কথায় তাঁদের রাজ্য সভাপতি শিক্ষানবীশ ও অযোগ্য। তিনি নিজের কথাতেই বুঝিয়ে দিয়েছে ইডি-সিবিআই বিজেপির অঙ্গুহেলনেই কাজ করে। যেমন ক'দিন আগে এক ফোনে একশো দিনের পাওনা টাকা রাজ্য পেয়ে যেতে পারে জানিয়ে উনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ওঁরাই রাজ্যের পাওনা আটকে দিয়েছে।' প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্নাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, 'ওনাকে কিছু করতে হবে না। সুকান্ত মজুমদার একটা ফোন করবে, সব টাকা চলে আসবে।'
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে তৎপর সিবিআই ও ইডি (ED)। তিন দিনে ৩৫ জায়গায় চলল তল্লাশি অভিযান। তালিকায় তৃণমূল পরিচালিত একের পর এক পুরসভা থেকে শুরু করে প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারপার্সনের বাড়িতেও গেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পাশাপাশি রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে চলল সিবিআই অভিযান। আর রানাঘাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৎকালীন তৃণমূল নেতা ও বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে সাতসকালে পৌঁছয় CBI-এর ৮ জনের টিম। কিছুক্ষণের মধ্যেই চার সদস্যের CBI-এর আরেকটি টিম ঢোকে রানাঘাট পুরসভায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে শুরু হয় অভিযান। আর যে অভিযানের প্রেক্ষিতেই মন্তব্য করতে গিয়ে এক ফোনে তল্লাশি বন্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে আসে সুকান্ত মজুমদারের কথায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন