শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দিনহাটার (dinhata) বামনহাট দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি এলাকায় যুব মোর্চার মন্ডল সহ-সভাপতিকে (youth morcha leader) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে (TMC)। এতেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, ওই নেতার জমিও দখল করেছে তৃণমূল।


কী ঘটেছিল?
অভিযোগকারী যুব মোর্চা নেতার নাম অভিজিৎ বর্মন। অভিযোগ, গত কাল তৃণমূলের লোকজন তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। হুমকিও দেয়। শুধু তাই নয়। তাঁর জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগানোরও অভিযোগ করেছেন অভিজিৎ। দাবি, তিনি এলাকায় একটি কার্যকারিণী সভার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন। তাই তাঁর ওপর এই হামলা। তৃণমূল সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। পাল্টা অভিযোগও অবশ্য কম নয়।


আগেও এক ঘটনা..
গত নভেম্বরেই যেমন সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালীন বিজেপির জেলা সভাপতির উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেবার নবগ্রামে বৈঠক চলাকালীন দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। আক্রান্ত হন উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি-সহ নেতাকর্মীরা। ১০-১৫জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলার অভিযোগ। 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব', অভিযোগ করে বিজেপি। হামলার প্রতিবাদ রঘুনাথগঞ্জে পথ অবরোধও করে বিজেপি। 'জনভিত্তি নেই, শুধুই অশান্তির চেষ্টা', অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করে তৃণমূল। একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কেষ্টপুরে, তৃণমূল কাউন্সিলারের অফিসে ডেকে, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে কেষ্টপুরে। 'আখের রসের মেশিনে ঢুকিয়ে মুড়ে দেব ', কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতাো। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূলও। বিজেপি কর্মীর পারিবারিক বিবাদ মেটাতে অফিসে ডেকেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সেখানেই বিজেপি যুব নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে! অশান্তি, শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে তৃণমূল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কেষ্টপুরে। বিজেপির দাবি, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর কথা বলে, তাদের এক কর্মীকে পার্টি অফিসে ডেকেছিলেন বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ। সেখানেই বিজেপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন রাজারহাট নিউটাউন মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ দু-তিনজন। বিজেপি নেতা বিকাশ বিশ্বাস বলেন,'রাজীবের কিছু একটা পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বিচার ডেকেছিল। ওই পৌরপিতার অফিসে গেলাম, আমি ভিতরে যেই ঢুকলাম, উনি চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে বলছেন, তোর নেতাগিরি ছুটিয়ে দেব, চড়-থাপ্পর মারলেন। প্রকাশ্যে পাবলিক প্লেসে মেরে অজ্ঞান করে দিলেন।'


আরও পড়ুন:মোদির মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, ২ লক্ষ সমবায় সমিতি, 'ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রামে' অনুমোদন