রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ভোট মিটেছে সপ্তাহদুয়েক আগে। কিন্তু বোমা-বিস্ফোরক (Bomb And Explosive) তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারে ক্ষান্তি নেই। পরশু অর্থাৎ গত শনিবার গভীর রাতে ফরাক্কার (Farakka) শিবতলা গ্রাম থেকে ৩০টি তাজা বোমার (Active Bomb) হদিশ মেলে। পাওয়া যায় বোমা তৈরির মশলা ও সরঞ্জামও। কেন রাখা ছিল সেগুলি? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, শিবতলা গ্রামের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ঘরে বাঙ্কের মধ্যে বালতির ভিতর অন্তত ২৫টি বোমা রাখা ছিল। আর ওই বাড়ির ঠিক পাশের জঙ্গল থেকে একটি ব্যাগের থেকে ৫টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরির মশলা ও সরঞ্জামও উদ্ধার করে পুলিশ। ফাঁকা বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার আগেই, ফরাক্কার মহেশপুরের সাঁকোপাড়া গ্রামে আমবাগানের মধ্যে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে খবর পায় পুলিশ। উদ্ধার হ. ৮-১০টি বোমা। গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। পর পর দু-দু'টি ঘটনায় বোমা উদ্ধারের পর ফের উঠে আসছে এক প্রশ্ন, ভোট মিটলেও বারুদের স্তূপ থেকে মুক্তি নেই রাজ্যের? 


ক্ষান্তি নেই...
দিনদুয়েক আগে বোমা উদ্ধার হয়েছিল মালদায়। সে বার বৈষ্ণবনগরের চন্দ্র মোহনদাস গ্রামে লিচু বাগানের মধ্যে রাখা ছিল বোমা ভর্তি দুটি প্লাস্টিকের জারিকেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে বোমা উদ্ধার করেছিল বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, হরিশ্চন্দ্রপুরে হাসপাতালের পিছনে ধান খেতের মধ্য়ে মেলে বোমা। তল্লাশি চালিয়ে ৩টি তাজা বোমা উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই বোমা মজুত করা হয়েছিল বলে গ্রামবাসীদের অনুমান। বস্তুত, ভোটপর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলায় জেলায় চলছে বোমা উদ্ধার। তবে সে দিন মালদায়কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বৈষ্ণবনগরের চন্দ্র মোহনদাস গ্রাম। সেখানে লিচু বাগানের মধ্যে দু'টি বস্তায় রাখা ছিল বোমা। গত শুক্রবারের ওই ঘটনা গ্রামবাসীদেরই চোখে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়। অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পিছনেই ধান জমি। সেখানে জমির মধ্যে লুকোনো ছিল ৩টি তাজা বোমা। তাতেও শুক্রবার স্থানীয়রাই থানায় খবর দেন। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে বোমা উদ্ধার করে। পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগেও মালদায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।


 


আরও পড়ুন:স্কুল জীবনে বাবার মৃত্যু, সাইকেল সারিয়ে প্রথম আয়! হার না মানা জেদের জোরেই এখন IAS