অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বউবাজারে (Bowbazar) সোনার দোকানগুলি (Gold Shop) পরিদর্শনে করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police), KMRCL, পুরসভা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। পরিদর্শনের পর বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনকার মতো ব্যবসা চালিয়ে গেলেও, না সারালে সমস্যা হবে। ধনতেরাসের (Dhanteras) আগে ২টো দিন ব্যবসা করতে দিন, আর্জি ব্যবসায়ীদের। 


অনেকে সপরিবারে ঘরছাড়া। কারও দোকানে তালা। কেউ বা ভয়ে ভয়ে দোকানটা খুলেছেন। ৩ বছর আগের বিপর্যয়, করোনার ধাক্কা সামলে এবার ধনতেরাসে ব্যবসায়ীক ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়া যাবে- বেশ কিছুদিন আগে থেকে এই আশায় বুক বাঁধলেও বিধি বাম!                                                        


সোনার ব্যবসায়ীদের বক্তব্য


স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির বাবলা দে বলেন, 'ক্ষতিপূরণ চাই না। সারিয়ে দেওয়া হোক। ২টো দিন ব্যবসা করতে দেওয়া হোক।' বুধবার, বউবাজারে সোনার দোকানগুলি পরিদর্শনে যায় কলকাতা পুলিশ, KMRCL, পুরসভা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল।                                                                                        


আরও পড়ুন, 'আমি নই, টাটাকে তাড়িয়েছে সিপিএম', শিলিগুড়িতে বললেন মমতা


অনেকেরই দোকান বাড়িতে। যাঁরা ‍দোকান খুলেছেন ও যাঁরা খুলতে পারেননি, এরকম বেশ কয়েকজনের বাড়ি ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরিদর্শনের পর যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনকার মতো ব্যবসা চালিয়ে গেলেও, পরে না সারালে সমস্যা হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যর কথায়, 'ইন্সপেকশনের পর দেখছি, ছাপাখানার এলাকা দেখলাম, কিছু দোকানে ব্যবসা করা যেতে পারে। তবে পরে সারিয়ে নিতে হবেই।'                         


কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, "সোনার দোকান পুরো ইন্সপেকশন করে খুলতে হবে। তারপর বলা আছে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ করি না তাই আসা হয়েছে।" এদিন, বৌবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে ছিল KMRCL, কলকাতা পুলিশ, পুরসভা ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ দল। তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেন, 'দেখছি কী করা যায়'। 


সব মিলিয়ে, বউবাজারের বাসিন্দাদের প্রশ্ন একটাই, এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান কবে হবে?