হাওড়া: হিংসা, হানাহানি, গুলি, বোমা, মৃত্য়ু মিছিল দিয়ে শেষ হল ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট। ভোট পর্ব শেষ দেখে নেওয়া যাক কী বলছে হাওড়ার সি ভোটার সমীক্ষা। হাওড়ায় মোট আসন সংখ্যা ৪২টি। আজকের ভোট পর্বের পর তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ২৭-৩৫। বিজেপি পেতে পারে ৭-১১ টি। বাম এবং কংগ্রেস পেতে পারে ১-৩টি। 


বিরোধীরা দাবি করছে, এটা ভোট নয়, ভোটের নামে প্রহসন। ভোটের ফলে আর যাই হোক, মানুষের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। উল্টোদিকে, তৃণমূলের দাবি, ২-১টি ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে নিজেদের ব্য়র্থতা লুকনোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা। তবে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য়েই সম্ভাব্য় ফলাফলের একটা আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। 


আজ অর্থাৎ ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছে তারা। এই এক্সিট পোলে মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ।


কিন্তু ওপিনিয়ন পোল হোক কিংবা এক্সিট পোল, কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। এই এক্সিট পোলের সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আর মানুষ প্রকৃতভাবে তার মতামত দিতে পারল কি পারল না, তার উত্তর কি এই ছবিগুলোই নয়? সেই বিতর্ক কিন্তু রয়েই গেল।


শনিবার ভোটপর্বজুড়ে দেখাগেল হানাহানি, হিংসা। বাদ গেল না হাওড়াও। ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটির মহিয়ারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের । কিবরিয়া গাজি হাইস্কুলে ৩ ও ৪ নম্বর বুথে তাণ্ডব চালানোর। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিরোধীদলের এজেন্টরা প্রতিবাদ করায় উত্তেজনা ছড়ায়। ডোমজুড় থানার ওসির নেতৃত্বে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ। ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি হাওড়া ডোমজুড়ের জগদীশপুর হাইস্কুলে উত্তেজনা। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে মারধর করে বাইরে বার করে দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। 


আরও পড়ুন: Cvoter Exit Poll 2023: ঝাড়গ্রামে খাতা খুলতে পারবে বাম-কংগ্রেস নাকি এগিয়ে তৃণমূলই? কী বলছে সি ভোটার সমীক্ষা?