কলকাতা: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকে তলব। সিবিআইয়ের (CBI) সিটের প্রধানকে তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামীকাল দুপুর ২টোয় সিটের প্রধানকে তলব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)।
সিটের প্রধানকে তলব: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মামলার পাহাড় জমছে। বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সুবিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে। এই পরিস্থিতিতে সিটের প্রধানকে তলব করা হল। তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের যে সিট গঠন করা হয়েছিল, তার যিনি প্রধান তাঁকে আগামীকাল দুপুর ২টো নাগাদ তলব করা হয়েছে। এই মামলার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে সব নিয়োগ অর্থাৎ, এসএসসি-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) সিবিআইয়ের (CBI) কাছে জানতে চান "ভুয়ো নিয়োগের প্রকৃত সংখ্যা কত?'' সেই কারণেই সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকে তলব করেছেন বিচারপতি। এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, "কারা জমা দিয়েছিলেন সাদা খাতা? সেই তালিকা কি কমিশনকে দিয়েছে সিবিআই? পরীক্ষায় ২-৩ নম্বর প্রাপ্তদের নম্বর বাড়িয়ে ৫২-৫৩ করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা কত? সেই তালিকা তৈরি করে কি সিবিআই কমিশনকে দিয়েছে?''জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কবে শেষ হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত? আগেই সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছেনন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাগ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার পরে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পরপর CBI তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্তে নেমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, এরপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে এগোচ্ছে? বিভিন্ন মহলে, এই প্রশ্ন ওঠার আবহে সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় CBI-এর আইনজীবীকে বলেন, “কাল এক জায়গায় গিয়েছিলাম। বহু সমাজের উপর তলার মানুষ সেখানে ছিলেন। তারা একের পর এক আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, তদন্ত কবে শেষ হবে?’’ বিচারপতি আরও বলেন, “লোক কোথায়? CBI’কে লোক বাড়াতে হবে। ’’
এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আমার চোখে যা পড়ছে, তাতে আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত আসছে। সেক্ষেত্রে SIT-এ লোক না বাড়ালে হবে না। প্রয়োজনে অর্ডার দেবো। কারণ CBI আরও বহু মামলার তদন্ত করছে।’’ সারদা, রোজভ্যালি থেকে নারদ - রাজ্যে একাধিক হেভিওয়েট মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। কিন্তু, তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই প্রেক্ষাপটেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সব মহল।