কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন নিয়ে ভিন্ন মত কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির। পার্থ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জামিন দিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় পার্থ-সহ আবেদনকারী পাঁচ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করলেন। অর্থাৎ ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টির নিষ্পত্তি হল না। মামলাটি এবার যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে। সেখানে তৃতীয় বেঞ্চ গঠিত হবে।  (Partha Chatterjee)


নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI যে মামলাগুলি করেছিল, তাতে জামিন চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ, সুবীরেশ-সহ মোট ১০ জন। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তা নিয়ে শুনানি হয়েছে। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আবেদনকারী প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করলেন তিনি। কিন্তু বিচারপতি সিংহ রায় জানান, তিনি এ ব্যাপারে একমত নন। জানান, পার্থ, সুবীরেশ, অশোক, কল্যাণময় এবং শান্তিপ্রসাদ, এই পাঁচ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করছেন তিনি। (SSC Case)


এদিন দুই বিচারপতি যেহেতু একমত হতে পারলেন না, তাই প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা যাবে। তিনি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করতে পারেন। তৃতীয় বেঞ্চে থাকতে পারেন একজন মহামান্য বিচারপতি অথবা তিন জন বিচারপতি। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চই পার্থ, সুবীরেশদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।  


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি যদিও এদিন পাঁচ জনের জামিনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন। পাঁচ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন তাঁরা। অন্য কোনও মামলা না থাকলে, তাঁদের জেলমুক্তি ঘটতে পারে। বাকি পাঁচ জনের মামলা যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি সিংহ রায় জানান, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়ে রাজ্যের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলে দাবি করে ED, CBI. রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না জানালে, অনুমতি মিলেছে বেল ধরে নেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি সিংহ রায়। 


এই নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র দায়ের করা মামলায় আজ জামিন পেয়েছেন কুন্তল ঘোষ। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠিয়ে এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তবে ED-র মামলায় জামিন পেলেও, এখনও CBI-এর মামলায় জামিন পাননি। ফলে এখনই জেলমুক্তি ঘটছে না তাঁর।