কলকাতা: প্রাথমিকে (Primary) ফের চাকরি (JOB) বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের। ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)। এর আগে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। ২৬৯ জনের বক্তব্য শুনতে হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে আবেদন করেন অনেক শিক্ষক। আজ ৫৪ জন হলফনামা জমা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সবার বক্তব্য খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ। এক জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট।
OMR শিট বিকৃত করার মামলায় বৃহস্পতিবার বলেছিলেন 'দেওয়াল তোড় দো'! আর শুক্রবার, প্রাথমিক ফের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি গেল ৫৩ জনের। একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল।
২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা যে, ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল, ১৩ জুন, তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীদের একাংশ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সিলমোহর দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা।
১৮ অক্টোবর, সর্বোচ্চ আদালত ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি ২৬৯ জনকে আবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সিঙ্গল বেঞ্চ ২৬৯ জনকে মামলায় যুক্ত করবে এবং তারপর তাঁদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে।
সেই মতো ৫৪ জন হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানান। শুক্রবার, তাঁদের মধ্যেই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুনর্বহালের আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতি: উল্লেখ্য, অযোগ্যদের পুনর্বহালের আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতি চাইল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাখিল করা এই সংক্রান্ত তিনটি আবেদনই প্রত্যাহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আবেদনে আপনারা লিখেছেন, বাতিল হওয়া এই শিক্ষকরা ২-৪ বছর চাকরি করছেন এবং এঁদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। আপনি কি জানেন এই অভিযোগ জানানোর কোনও সংস্থান আছে কি না? যদি না থাকে তাহলে কোথায় অভিযোগ জানানো হবে? ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এই ২৫ বছরে কোনও এ ধরনের অভিযোগ কি কমিশন পেয়েছে? SSC-র আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির। এই আবেদনগুলি বেনামি, কমিশনকে সামনে রেখে পিছন থেকে কেউ কেউ বিশ্বকাপ খেলছে, কমিশনকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আবেদনপত্র কি কমিশন লিখেছে? SSC-র আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির। আমি বিশ্বাস করি, এই আবেদন কমিশন লেখেনি। কমিশনকে বাধ্য করা হয়েছে এই আবেদন দাখিল করার জন্য। আমার এই বিশ্বাসের পিছনে উপযুক্ত কারণও রয়েছে। মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।