সৌভিক মজুমদার, অনির্বাণ বাগচী, সমীরণ পাল, কলকাতা : খুন বলে মনে হলেও, পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেই ক্ষান্ত থাকল ? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে FIR দায়ের হয়নি কেন ? বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগের মামলার শুনানিতে গত বৃহস্পতিবার প্রাক্তন CRPF জওয়ানের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন। আর সোমবার, ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 


মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাসিন্দা প্রাক্তন CRPF জওয়ান প্রশান্ত মল্লিক। বর্তমানে থাকেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। রেজিনগরের ডাঙাপাড়ার এক বাড়িতে থাকতেন তাঁর মা ও ভাই। মামলাকারীর দাবি, গত ২৪ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের দিন তাঁর এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের গন্ডগোল হয়। এরপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ভাই আশিস মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২৫ নভেম্বর বাড়ি থেকে জওয়ানের মা ৭০ বছরের দীপালি মল্লিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।মাকে খুনের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হন বড় ছেলে।


পুলিশকে নিষ্ক্রিয় দেখে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতার বড় ছেলে। যে মামলার শুনানিতে সোমবার ফের পুলিশকে তীব্রভাবে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা তো ছিল। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে FIR দায়ের করল না কেন? বিচারপতি আরও বলেন, দেহ উদ্ধার করার সময় যখন প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে যে এটা হত্যার ঘটনা হতে পারে, তখন পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেই ক্ষ্যান্ত থাকল! ঘটনার পর এতদিন হয়ে গেল। এতদিনে তো তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে গেছে। কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি? জানতে চান বিচারপতি।


এদিকে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে, রাজ্যের তরফে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ৯ ডিসেম্বর FIR দায়ের হয়েছে। এরপর ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। পেশ করতে হবে কেস ডায়েরি। মামলাকারী জওয়ানের রেজিনগরের বাড়ি এখন তালাবন্ধ।                


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর, টেট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দিলীপ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে