সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ১২ বছর পরে হতে চলেছে পরীক্ষার রেজাল্ট আউট! মাদ্রাসা গ্রুপ ডি পরীক্ষার (Madrasah Group D Recruitment) ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ৬ মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১০ সালে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া। তার পর ১২ বছর কেটে গেলেও ফলপ্রকাশ হয়নি। সেই মামলাতেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 


বিক্ষোভ...
গত এপ্রিলে নিয়োগের দাবিতে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৩ সালে মাদ্রাসা কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগে সে বার হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। তবে সেটিই বিক্ষোভের প্রথম ঘটনা নয়। এপ্রিলের আগে, গত ফেব্রুয়ারিতেও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কালীঘাট অভিযান করেন চাকরিপ্রার্থীরা।পাস প্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। অশান্তি এড়াতে সে দিন সকাল থেকেই হাজরা মোড়ে মোতায়েন ছিল। পুলিশ চাকরিপ্রার্থীরা হাজরা মোড়ে আসতেই তাদের গ্রেফতার শুরু করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের।


নিয়োগ জট...
ঘটনা হল, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের নানা দিকে নিয়োগ-দুর্নীতির থরে থরে অভিযোগ, দায়ের হয়েছে মামলা। তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ-প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে চলতে থাকা কঠিন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে জোরদার হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। গত ৭ অগাস্ট যেমন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল হয়। ৯ বছর ধরে নিয়োগ না হওয়ার অভিযোগে ফের রাজপথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চলে মিছিল, বিক্ষোভ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই জল গড়িয়েছে অনেকদূর। একটা সময় মাসের পর মাস রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানিয়ে আসছিল চাকরি প্রার্থীদের দল। কিন্তু এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মূলত উসকে যায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারির পর। একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসে।  লাখ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগের দুর্নীতির কাণ্ডে নাম জড়ায় রাজ্যের একের পর এক হেভিওয়েটের। সেই তালিকায় কে নেই ! এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়েও কম বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। মূলত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর এই মামলা বেগ পায়। যদিও সেই মামলাতেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়া হয়েছিল। তবে তা ধোপে টেকেনি। প্রকাশ্যে আসে তালিকা। SLST চাকরিপ্রার্থীদের পরই পথে নামেন ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিকের এই চাকরিপ্রার্থীরা। উল্লেখ্য, চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে একসময়ে সল্টলেকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে সকাল থেকে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকে দেন।সেখানেই জামা খুলে গেঞ্জি পরে প্রতিবাদে বসে পড়েন তাঁরা।


আরও পড়ুন:১১ দিনের বিদেশ সফরে মমতা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিদলে কারা ?