সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) খুনে (Murder) গ্রেফতার হয়েছে এক ভাড়াটে খুনি। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশমতো শুক্রবার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে কেস ডায়েরি জমা দিলেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। এদিনই আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ল সিটের তদন্ত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা পুলিশের কাছে জানতে চান, ঘটনাস্থলের ফটোগ্রাফি আগে কেন করা হয়নি? সিআইডি অফিসাররা যাওয়ার পর কেন সেই কাজ করা হয়েছে? ওই কাজ তদন্তের শুরুতেই করা উচিত ছিল বলে জানান বিচারপতি।


ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ


কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের পর থেকেই, ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছে নিহতের পরিবার। পুরভোটে তপন কান্দু জিতলেও, আইসি তাঁকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।


এই প্রেক্ষাপটে এদিন কলকাতা হাইকোর্টও প্রশ্ন তোলে, আইসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে কেন? সোমবার দুপুর দুটোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। 


কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার ভাড়াটে খুনি


ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এর আগে নিহতের এক ভাইপো ও পুরভোটে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে কলেবার সিংহ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারের প্রশ্ন, খুনের নেপথ্যে বড় মাথা কে? পুরবোর্ড গঠনের ঠিক মুখে কার নির্দেশে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে মারা হল? কেন ঝালদা থানার আইসি কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছিলেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর কোথায়? কেন সিবিআই তদন্তে রাজি হচ্ছে না রাজ্য সরকার? শুধু ‘বোড়ে’-দের গ্রেফতার করে কি ‘রাজা’-কে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে? 


আরও পড়ুন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার মূল চক্রী


পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃত কলেবার সিংহের নামে আগেও একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। ২০১৩ সালে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছিল সে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের দাবি, যে তিনজন মোটরবাইকে এসে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিল কলেবার। তবে সে-ই গুলি চালিয়েছিল কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করা হবে।