সৌভিক মজুমদার,  কলকাতা: স্কুলে গ্রুপ ডি তদন্তে সিবিআই সিট ভেঙে নতুন সিট তৈরি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিবিআই-এর সিট (CBI SIT) থেকে দুই জনকে সরিয়ে যুক্ত করা হল আরও চার জনকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বক্তব্য, "সিবিআই খুব আস্তে আস্তে কাজ করছে, কেন করছে, সেটা তারাই জানে।" (Group D Recruitment)


নিজের তৈরি সিট-ই ভেঙে দিয়ে নতুন করে গঠন আদালতের


স্কুলে গ্রুপ-ডির তদন্তে সিবিআই-এর সিট-এর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। গত সাত মাসে ৫৪২ জনের মধ্যে মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জেনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।  সেই নিয়ে বুধবার বিচারপতির তলব পেয়ে সদস্যদের নিয়ে সিবিআই-এর সিট প্রধান হাজিরা দেন আদালতে। 


সেখানে এ দিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, "নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৫৪২ জন চাকরিপ্রাপককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলাম। ১৮ মে ৫৪২ জন চাকরিপ্রাপককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে?" এর জবাবে সিবিআই বলে, "এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা বৃহত্তর চক্রান্তের বিষয়টি দেখছি, টাকার উত্‍স খুঁজছি। কাদের কাছে এই টাকা গিয়েছে তা দেখা হচ্ছে, আমরা নথি সংগ্রহ করছি।"


আরও পড়ুন: Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভার ব্যর্থতার অভিযোগ, বিরোধীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার


কিন্তু সিবিআই-এর এই যুক্তি ধোপে টেকেনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে। তিনি বলেন, "ছয় মাস কেটে গিয়েছে। কিছুই করেননি। এবার তো পরিসংখ্যান জানতে হবে! ৫৪২ জনের ঠিকানা, তথ্য জানতে জেলার এসপিদের সাহায্য নিয়েছিলেন?" 


জবাবে সিবিআই-সিট জানায়, পুলিশ সুপারদের জানানো হয়েছিল। এর উত্তরে বিচারপতি জানতে চান, ঠিক কবে গঠিত হয়েছিল সিট? সিবিআই জানায়, গত ১৭ জুন। তাতে বিচারপতি বলেন, "তার পর ৫ মাস কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ!" এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সিট পুনর্গঠন করা হবে। চার জন আধিকারিকের নাম চান তিনি। তাতে অংশুমান সাহা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠী এবং ওয়াসিম আক্রম খানের নাম দেয় সিবিআই।  পুনর্গঠিত সিট-কে ২১ দিনের মধ্যে ৫৪২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


তদন্ত ধীরগতিতে চলছে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়


এ ছাড়াও নেতৃত্ব দিতে ডিআইজি-র নাম চান বিচারপতি। কলকাতায় সিবিআই-এর ডিআইজি না থাকায়, আপাতত অখিলেশ সিংহের নাম সামনে এসেছে। তিনি অন্যত্র রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে বদলি করা যাবে না।