কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা :  বেলায় নয়, সকালে হবে পরীক্ষা। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকও যেখানে প্রায় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পরীক্ষার্থীদের, তখন বদলে গেল দুই পরীক্ষা শুরুর সময়।  কয়েকদিন আগে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতে হয়েছে মামলা।  


মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে বাকি আর মাত্র ৮ দিন। উচ্চমাধ্যমিক শুরু হতে বাকি এক মাসেরও কম সময়। এই রকম সময়ে বদলে দেওয়া হল রাজ্যের দুই বড় পরীক্ষা শুরুর সময়। তবে পরীক্ষার দিন থাকছে অপরিবর্তিত, জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অর্থাৎ মাধ্যমিক এগোল ২ ঘণ্টা। উচ্চমাধ্যমিক এগোল ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারী। 


মামলাকারীর আবেদন , এই সময় মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam 2024) সময় বদল করা যাবে না। মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে দায়ের হয় এই মামলা। সময় বদলের হলে সমস্যায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা, দাবি করেছেন ওই মামলাকারী। আগের সময়েই পরীক্ষা হওয়ার নির্দেশ দিক আদালত, আবেদন করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী। 


পরীক্ষার্থীদের যখন একেবারে শিরে সংক্রান্তি, তখন কেন এগিয়ে আনা হল পরীক্ষা শুরুর সময়? এই নিয়ে আগেই শিক্ষামহলে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। এতদিন মাধ্যমিক শুরু হত সকাল ১১টা ৪৫-এ। শেষ হত দুপুর ৩টেয়। এবার সকাল ৯.৪৫ থেকে শুরু হবে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। শেষ দুপুর ১টায়। অন্যদিকে, মাধ্যমিক শেষ হলেই ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক। চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতদিন পরীক্ষা শুরু হত বেলা ১২টায়। শেষ হত দুপুর ৩টে ১৫-য়। এবার পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯.৪৫ থেকে। শেষ হবে দুপুর ১টায়। সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন ডিএম এসপিরা। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।  


প্রশাসন সূত্রে দাবি, শীতকালে অন্ধকার নামার আগে পরীক্ষার্থীরা যাতে বাড়ি পৌঁছে যায়, উত্তরপত্র যাতে নিরাপদে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনো যায় - এই সব কথা মাথায় রেখেই সময় বদলের সিদ্ধান্ত। এখন আদালত মামলা শুনে কী রায় দেন, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করে আছে অনেক পরীক্ষার্থী।