কলকাতা: রিষড়ায় (Rishra) অশান্তির কারণ নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে।


হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা: রিষড়াতেও রামনবমীর মিছিলে অংশগ্রহণকারীর হাতে ধারাল অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ব্যবহার করে। তীব্র ভর্ৎসিত হওয়ার পর, রিষড়ার অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়ে এই দাবি করল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। রবিবারের পর সোমবার, রামনবমীর অনুষ্ঠান ঘিরে পরপর দু'দিন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া। শিবপুর ও ডালখোলায় অশান্তি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার শুনানিতে, উঠে  এসেছিল রিষড়ার প্রসঙ্গও। তিন জায়গায় অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। সেই নির্দেশ মতোই আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।


তারা জানিয়েছে, দোসরা এপ্রিল অর্থাৎ প্রথম দিন, রামনবমীর মিছিল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল। ছোড়া হয় ইট-পাথর। বেআইনিভাবে DJ ব্যবহার করা হয়েছিল।এলাকা শান্ত করতে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তখন পুলিশকে বাঁশ, লাঠি, ইট-পাথর দিয়ে আক্রমণ করা হয়।একটি সরকারি গাড়িরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশি টহলদারির মধ্যে পরের দিনও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রিষড়া। হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ দাবি করেছে, ওই দিন সন্ধে ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পুলিশের বড় বাহিনী শান্তি ফেরাতে, টহল দিতে দিতে রিষড়ার চার নম্বর রেল গেটের কাছে পৌঁছয়।সেই সময় ৫০০ থেকে ৬০০ জন স্থানীয় বাসিন্দা জমায়েত হয়ে পুলিশের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন।এরপরই তাঁরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের দিকে ইঁট-পাথর ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে আরও বাহিনী ডাকা হয় এবং পুলিশবাহিনী উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করার সব রকম চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ, লাঠি, ইট-পাথর দিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। একটি সরকারি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ব্যবহার করে। জনতা আরও হিংস্র হয়ে উঠে পুলিশকে খুন করার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তলোয়ার এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখাতে থাকে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন, রক্তপাত হয়। রেলের একটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: Kolkata Parking Fee:পুরনো রেটেই নেওয়া হবে পার্কিং ফি, জানিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা