কলকাতা: শিশুকন্যা খুনে রণক্ষেত্র তিলজলা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান সৌমিত্র খাঁ। কলকাতায় রাষ্ট্রপতির উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে হস্তক্ষেপ দাবি বিজেপি সাংসদের।
রাষ্ট্রপতির সুরক্ষায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁর দাবি, 'দিনের পর দিন জ্বলছে বাংলা'। কলকাতায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি। বাংলার মানুষের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার, অভিযোগ সৌমিত্র খাঁয়ের।
গত রাত থেকেই ফুঁসছে তিলজলা। এখনও গণক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ৭ বছরের শিশুর মর্মান্তিক পরিণতির প্রতিবাদে বন্ডেল গেট রোড থেকে পার্ক সার্কাস, অবরোধ হয়। মূল অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি ও থানা ভাঙচুরকাণ্ডে ধৃত ২ মহিলাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পিকনিক গার্ডেন ও বন্ডেল রোডের সংযোগস্থলে বন্ডেল গেট অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নির্দিষ্ট করে বললে পার্ক সার্কাস ও বালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝে বন্ডেল গেট ব্রিজের কাছে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কাজের দিনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কাতারে কাতারে যাত্রী দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। অনেককে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে অফিস পৌঁছতে হয়েছে।
শিশুকন্যাকে অপহরণের পর খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র তিলজলা। আক্রান্ত সাংবাদিকরাও। সোমবার তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বন্ডেল রোড , পিকনিক গার্ডেনে একের পর এক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। পরপর বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুড়ে ছাই হয়ে যায় একটি গাড়িও। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পুলিশের দাবি তিলজলাকাণ্ডে ৭ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের পর, খুনের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত । ধৃত অলক সাউয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন ছাড়াও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অন্যদিকে, গতকাল তিলজলা থানায় ইটবৃষ্টির ঘটনায় একজন ASI ও ৪ জন কনস্টেবল আহত হন। নাবালিকাকে অপহরণ-খুন, অভিযুক্তকে মারধর ও থানা ভাঙচুরকাণ্ডে ৩টি পৃথক মামলা রুজু হয়। মূল অভিযুক্ত ছাড়াও, থানা ভাঙচুরের অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে তিলজলা থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: সংসদের আর্জিতেই কি উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র সহজ এবার, সভাপতির মন্তব্যে বিতর্ক