সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: ছটের পুণ্য স্নান করতে গিয়ে বিপত্তি। কুলিক নদীর জলে ডুবে মৃত্য়ু হল এক পুণ্যার্থীর। মৃত্যুকে ঘিরে রায়গঞ্জের খরমুজাঘাট শ্মশানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত ব্যক্তির নাম রঞ্জিত রাম। বাড়ি রায়গঞ্জ থানা এলাকার বারদুয়ারি গ্রাম।


ডুবে মৃত্য়ু হল এক পুণ্যার্থীর: মহকুমা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং রায়গঞ্জ পুরসভা সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছটপুজো নির্বিঘ্নে শেষ হলেও শুক্রবার অঘটন রুখতে পারল না প্রশাসন। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ছট পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ কুলিক নদীতে স্নান করে করতে এসেছিলেন। এমনই একজন এসেছিলেন রায়গঞ্জ শহরের অদূরে বারোদূয়ারি গ্রামের রঞ্জিত রাম। তার সন্তানকে নিয়ে নদীতে স্নান করে পুণ্য অর্জন করতে চেয়েছিলেন। পা হরকে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। তাঁর সন্তানকে জলে ডুবতে দেখে স্থানীয় মানুষ তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু রঞ্জিত রামকে উদ্ধার করতে পারেননি। নদীতে তলিয়ে যান তিনি। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করেন উপস্থিত জনতা। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।                                                 


এদিকে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে, ছট পুজো নিষিদ্ধ দক্ষিণ করা হয় কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর এবং পূর্ব কলকাতার সুভাষ সরোবরে। দূষণ রুখতে তৎপরতা দেখায় KMDA। দু'টি সরোবরের গেটের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। সরোবর লাগোয়া রাস্তায় বসানো হয় গার্ডরেল। সরোবরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রতিটি গেটে টাঙানো হয়েছে ফ্লেক্স। বুধবার রাত ৮টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরের সমস্ত গেট। শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গেট বন্ধ ছিল। দুই সরোবরেই মোতায়েন করা হয় পুলিশ। রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরের দরজা বন্ধ থাকলেও বিকল্প হিসেবে ছটপুজোর জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম জলাশয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।     


আরও পড়ুন: Nadia Awas Scam: আবেদন করেও মেলেনি মাথা গোঁজার ঠাঁই, কবে মিলবে বাড়ি? উঠছে প্রশ্ন