কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে, ধর্নামঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। ১০০ (MGNREGA) দিনের কাজের ২১ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। বললেন, '২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে।' 


বিশদ...
এদিন রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে ফের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, 'বাংলার টাকা আটকে রেখে বিজ্ঞাপন দিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে বিজেপির। মিথ্যা বলার জুড়ি আর কেউ নেই। বিজ্ঞাপন না দিয়ে বাংলার টাকা দিক।' তাঁর দাবি, 'বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করছে ৮০ কোটি মানুষকে বাড়ি দিয়েছে। অথচ বাংলার তালিকা থাকা ৫৪ লক্ষ মানুষ কিছুই পাননি।' এর সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১০০ দিনের কাজের ২১ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।  

প্রতিক্রিয়া...
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেন, 'ড্রামাবাজিতে কোনও লাভ হবে না। মমতা চোর। ক্যাগ রিপোর্টে প্রমাণিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করেছেন...ওখানে কেউ যাচ্ছেন না, মশা-মাছি তাড়াচ্ছেন। আর মর্নিং ওয়াক করছেন পুলিশকে নিয়ে। ওটা পুলিশের ধর্না হচ্ছে।' কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে ক্যাগ-রিপোর্ট নিয়ে চিঠি লিখেছেন? বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, সবটাই ভাবমূর্তি বাঁচাতে করেছেন মমতা। তবে তাঁরা যে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় ক্যাগ-রিপোর্ট পেশের দাবি করবেন, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন। 
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর আবার বক্তব্য, 'কলকাতার বদলে দিল্লিতে ধর্না দেওয়া উচিত তৃণমূলনেত্রীর। দিল্লি চলুন, আমরাও যাব।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, দিল্লিতে ধর্নায় বসলে কংগ্রেস সমর্থনের জন্য থাকবে। তাঁর প্রশ্ন, 'গরিব মানুষের ১০০ দিনের ন্যায্য দাবি পেতে কেন এই সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে না?'
ঘটনা হল, এই বকেয়া আদায় নিয়ে অতীতে রাজধানী শহরে বিস্তর তোলপাড় হয়েছে। গত অক্টোবরে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কৃষি ভবনে ধর্নায় বসেছিলেন দলীয় সাংসদরা।  বাংলার প্রাপ্য আদায়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বৈঠক হয়নি। বলা হয়, নির্দিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। এর পর কৃষি ভবনেই অপেক্ষা করতে থাকেন অভিষেক-সহ তৃণমূলের বাকি সাংসদ-মন্ত্রীরা। ঘড়ির কাঁটা চলতে থাকলেও সেই বৈঠক হয়নি। কিন্তু পুলিশের তরফে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৃণমূল সাংসদরা কৃষি ভবন ছেড়ে না বেরোনোয় পুলিশবাহিনী ঢুকতে শুরু করে। শুরু হয় তুলকালাম। পুলিশের সঙ্গে জোড়াফুল শিবিরের মন্ত্রী-বিধায়কদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে আটকও হন তাঁরা।
এই ঘটনার পরও ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। এবার ফের ধর্না।


আরও পড়ুন:মরে গিয়েও 'বেঁচে' উঠলেন পুনম পাণ্ডে!