সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: জল সরবরাহে নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ভূমিকাও নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জল সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সব পুরসভার পারফরম্যান্স খারাপ, তাদের যে তালিকা দিয়েছেন, তাঁর মধ্যে শান্তিপুরও রয়েছে।
গত পুরভোটে শান্তিপুরে ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে দুটি বিজেপি তাদের দখলে আনতে সক্ষম হয়। তবে এবার লোকসভা ভোটে শহরে ১৮টি ওয়ার্ড থেকে লিড নিয়েছে বিজেপি। আর সেটা প্রায় আট হাজার ভোটের। ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১- এর বিধানসভা ভোটে শান্তিপুর শহরে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে বিধানসভার উপ নির্বাচনে আবার তৃণমূল শান্তিপুর শহরে ধরাশায়ী করে বিজেপিকে। তবে লোকসভা ভোটে এ বার বিজেপি ফের পিছনে ফেলেছে তাঁদের।
শান্তিপুর শহরে ভাগীরথীর জল পরিস্রুত করে সরবরাহ প্রকল্প চালু হয় ২০১৬ সালে। প্রথম পাঁচ বছরে প্রায় ছয় হাজারের মতো জলের সংযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তী তিন বছরে সেই সংযোগ প্রায় ২৭ হাজার পার হলেও শহরে জল সংযোগের সংখ্যাটা ৪৩ হাজারের বেশি। জানা গিয়েছে, এত বড় শহরে বিপুল পরিমাণ মানুষের কাছে জল ঠিকমত পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো আরও বাড়াতে হবে।
যে কারণে শহরের বহু অংশে বাসিন্দাদের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল এখনও অধরা থেকে গিয়েছে। আরও বেশি বুস্টার পাম্পের অভাবে শহরে টানা দু'ঘণ্টা জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছে। ভাগীরথী থেকে জল উত্তোলনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ইনটেক পয়েন্ট রয়েছে।শান্তিপুরের পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ বলেন, এত বড় শহরে জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। তাই আমরাও পরিকাঠামো আরও বাড়াতে চাইছি। তাহলেই সমস্যা মিটবে।পানীয় জলের পরিষেবা থেকে শান্তিপুর পৌরবাসী বঞ্চিত হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই সক্রিয় পুলিশ, গ্রেফতার TMC নেতা..
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।