শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মাথাভাঙা: পারিবারিক জমি-বিবাদকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের (Coochbehar) মাথাভাঙায় (Mthabhanga) সংঘর্ষ। দুই পরিবারের ৭ জন আহত (Injuired)। বাঁশ-লাঠি নিয়ে রাজ্য সড়কের ওপর মারপিট। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ১২ বিঘা জমির দখল নিয়ে আহাম্মদ হোসেন ও তাঁর আত্মীয় পঞ্চায়েত মিঞার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। অভিযোগ, আজ সকালে লাঠিসোটা, দলবল নিয়ে জমি দখল করতে যান আহাম্মদ হোসেন। বাধা দিলে দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনাস্থলে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।


রাস্তা না যুদ্ধক্ষেত্র। বাঁশ-লাঠি নিয়ে মারামারি। একে অপরকে নির্মম মার। কেউ লাঠির বাড়ি খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন। কেউ উঠে দাঁড়িয়ে ফের লাঠি চালালেন। মারামারির চোটে রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাতায়াত পর্যন্ত বন্ধ। জমি বিবাদের জেরে দুই আত্মীয়ের পরিবার এভাবেই সংঘর্ষে জড়াল কোচবিহারের (Coochbehar) মাথাভাঙায় (Mathabhanga)।


স্থানীয় সূত্রের খবর, ১২ বিঘা জমি নিয়ে আহম্মদ হোসেন ও তাঁর আত্মীয় পঞ্চায়েত মিঞার দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে অভিযোগ, এদিন দলবল, লাঠিসোঁটা নিয়ে জমির দখল নিতে যান আহমম্মদ হোসেন। পঞ্চায়েত মিঞা বাধা দিতে যেতেই তুলকালাম বেধে যায়।  খণ্ডযুদ্ধ চলে মাথাভাঙা-শিলিগুড়ি রাজ্য সড়কের ওপরে। ঘটনায় ২ পক্ষের ৭ জন আহত। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় সুনির্দিষ্ট মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।


এদিকে পুরবোর্ড গঠনের পরেই বনগাঁয় প্রকাশ্যে তৃণমূলের দুই নেতার সংঘাত। পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে দলেরই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের উপ পুরপ্রধান। গতকাল বনগাঁর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকটি ক্লাবের মধ্যে দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, মহিলাদের মারধর করা হয়। এরপরই পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী ও আত্মীয় মলয় আঢ্যকে নিয়ে থানায় যান উপ পুরপ্রধান জ্যোত্স্না আঢ্য। সেখানে দু’ পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়। এরপর থানার বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। যা একসময় পৌঁছে যায় থানার ভিতরেও। উপ পুরপ্রধানের অভিযোগ, হামলার নেপথ্যে পুরপ্রধান গোপাল শেঠের অনুগামীরা। পুরপ্রধানের পাল্টা দাবি, কংগ্রেসের পরাজিত প্রার্থীকে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে। 


আরও পড়ুন: Paschim Medinipur: 'খেলনা' বন্দুক দেখিয়ে লুঠ ৪ লাখ টাকা! তদন্তে পুলিশ