শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: পদ থেকে সরতে চেয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট। বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা সভাপতির ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post) ঘিরে জল্পনা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
দলীয় পদ ছাড়তে চেয়ে ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post)। বিজেপির যুব মোর্চার (BJP Yuva Morcha) নেতাকে ঘিরে জল্পনা। রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় আসন্ন পুরভোট ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে দলীয় পদ ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্টে জল্পনা বাড়ালেন বিজেপি যুব মোর্চার কোচবিহার (Coochbehar) জেলা সভাপতি অজয় সাহা।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, বিজেপির যুব সভাপতি পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় সরে যেতে চাই। নতুন, তরুণ, কর্মঠ, শিক্ষিত, মার্জিত কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।
কিন্তু কেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পদে আর থাকতে চান না তিনি? এ প্রশ্নের উত্তরে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের প্রতি তাঁর ক্ষোভের কথা গোপন করেননি বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি।
কোচবিহারের বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি অজয় সাহার কথায়, দলের প্রতি আমার ক্ষোভ নেই, নেতৃত্বের কারোর কারোর প্রতি আছে। দলের সংবিধান অনুযায়ী ৪০ বছর পর্যন্ত যুব সভাপতি থাকা যায়। আমার বয়স ৪১। তাই সরে যেতে হবে। নতুনরা যাতে সুযোগ পান, সেকারণেই এই পোস্ট।
স্থানীয় বিজেপি সূত্রে খবর, এর আগেও দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন যুব মোর্চার এই নেতা। আর তাঁর এই পদ ছাড়তে চেয়ে ফেসবুক পোস্ট সামনে আসতে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।
কোচবিহার শহর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের কথায়, এরপর তো বিজেপিতে পদ নেওয়ার লোক থাকবে না। সবারই মোহভঙ্গ হচ্ছে। দল করার আসক্তি কমলেই পদে আসক্তি কমে। উনি আসতে চাইলে আমাদের দল ভেবে দেখবে।
কোচবিহারের বিজেপি সম্পাদক রাজু রায় জানিয়েছেন, যুব সভাপতি দেশাত্মবোধক ও জাতীয়তাবাদী আদর্শ নিয়ে চলেন। এভাবে বললেই তো উনি সরে যেতে পারবেন না। দল সিদ্ধান্ত নেবে। ফেসবুকে আবেগে অনেকেই অনেক কিছু লেখেন। তাতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।
বিজেপির জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদলে কোচবিহারের নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন সুকুমার রায় যিনি কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক। এর আগে কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায়।