ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রেমডেসিভিরের পর এবার হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ফ্যাভিপিরাভির! হাসপাতালে পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার মুখে করোনা চিকিৎসায় বরাদ্দ ওষুধ। রাজ্যে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, তখন বেলেঘাটা আইডিতে পড়ে রয়েছে হাজার হাজার হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ফ্যাভিপিরাভির।
এনিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়ে বেলঘাটা আইডি হাসাপতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের স্টোরে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ৪০০ মিলিগ্রামের ৪৬ হাজার ৫০০টি ট্যাবলেট মজুত রয়েছে। যার মেয়াদ মার্চের ৩১ তারিখ উত্তীর্ণ হবে। ৪ হাজার ৭২০টি ফ্যাভিপিরাভির ট্যাবলেটও পড়ে রয়েছে। যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে ফেব্রুয়ারিতে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ওই দুই ওষুধ তারা না চাইলেও এই জীবনদায়ী ওষুধগুলি দেওয়া হয়েছে। তাই অব্যবহৃত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ফ্যাভিপিরাভির অন্য হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হোক। স্বাস্থ্য দফতরে এবিষয়ে যোগযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বৃহস্পতিবারই করোনাকালে (Corona) শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে (Shambhunath Pandit Hospital) পড়ে নষ্ট হল, কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন (Remdesivir)। মেয়াদ উত্তীর্ণ সাড়ে আটশো ইঞ্জেকশনের বাজার দর প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। কোভিড আবহে বহু মূল্য ওষুধ নষ্ট হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই হু হু করে বাড়ছে ওষুধের দাম। সেই সময় সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) পড়ে থেকে নষ্ট হল করোনা চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডেসিভির। ব্যবহারই করা গেল না ৮৫০টি রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন। জলে গেল ২১ লক্ষ টাকার ওষুধ। তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) ধাক্কায় যখন বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ (Daily Corona Case) প্রায় ২৫ হাজারের দিকে, তখন লক্ষ লক্ষ টাকার এই ইঞ্জেকশন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়েছে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নষ্ট হয়েছে ওষুধ, স্বাস্থ্য দফতরকে তা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।