দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কত দূর ছড়িয়ে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের শিকড়? ফের প্রশ্ন তুলে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এলাকা। তৃণমূল পরিচালিত প্রতাপনগর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের শাশুড়ি ও দেওরের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। তালিকা তুলে ধরে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। বিতর্কের মুখে তৃণমূলনেত্রী ও পঞ্চায়েত প্রধান মামুদা বিবির সাফাই, শাশুড়ি ও দেওর যথেষ্ট গরিব। তাঁরা আলাদা মাটির বাড়িতে থাকেন। তৃণমূল পরিচালিত সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির আওতাধীন প্রতাপনগর গ্রামপঞ্চায়েত। সম্প্রতি এই সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং প্রতাপনগরের অঞ্চল সভাপতির পরিবারের দুই সদস্যের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেখা যায়। তা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে বির্তক। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ হল উপপ্রধানের ঘটনায়।
ঝাড়গ্রামে দুর্নীতি: একই দিনে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত কর্মীর পরিবারের সদস্যের নাম উঠেছে আবাস যোজনার তালিকায়। এবার ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠল আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ। অন্যদিকে, খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি পঞ্চায়েতে সদস্যার শ্বশুরের নাম উঠল আবাস যোজনার তালিকায়।
সোনারপুর আরও দুর্নীতি: এর আগে আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় মিলেছিল তৃণমূল পরিচালিত সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের মা ও ছেলের নাম। এসডিও, বিডিও, জেলাশাসকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিতর্কের মুখে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওই তৃণমূল নেতা।
দোতলা পেল্লাই বাড়ি! রয়েছে প্রচুর সম্পত্তি! তবুও, তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের মা ও ছেলের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকদের তালিকায়। তৃণমূল পরিচালিত সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঢালি। তাঁর মায়ের নাম গীতা ঢালি আর, ছেলের নাম শুভঙ্কর ঢালি! দুজনেরই নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। এ নিয়ে এসডিও, বিডিও, জেলাশাসকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বাসিন্দা।
অভিযোগকারীর দাবি, এর আগে রাজ্য সরকারের গীতাঞ্জলি প্রকল্পের সুবিধাও নিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঢালি। বিতর্কের মুখে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও, এতে বিতর্ক আরও বেড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনারপুরের বিডিও। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, বিতর্ক থামছে না।