কলকাতা: কালীঘাটে (Kalighat) মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) বাড়িতে ঢুকে পড়া অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজত। ১১ জুলাই পর্যন্ত অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। শনিবার রাত ১.২০: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত হাফিজুল। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির পিছনে লুকিয়ে থাকার সময় নজরে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের। আগেও নবান্নে (Nabanna) ঢুকতে গিয়ে আটক হয়েছিল অভিযুক্ত সন্দেহভাজন। কী উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিল হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুল? সূত্রের খবর, হেফাজতে নিয়ে ধৃতের কাছে জানতে চাইবে পুলিশ।




প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা: শনিবার রাতে ওই ব্যক্তি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে ভিতরে ঢুকে পড়েন। সারা রাত সেখানেই ছিলেন তিনি। গতকাল, রবিবার বেলা ১২ নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে দেখা যায় প্রচুর পুলিশ। পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের গাড়ি। স্নিফার ডগ। চলে আসেন কলকাতার পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। লালবাজার সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি চত্বরে সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা।  এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার অভিযোগ উঠেছে। জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই সিকিউরিটি জোনে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে কীভাবে ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকলেন? এতটা সময় তিনি ভিতরে থাকা সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে এল না? উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি আরও বাড়ানো হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী।


নিরাপত্তার ঘেরাটোপ: ২০২১-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে আদিগঙ্গায় নেমে প্রতিবাদ জানান অনুমোদনহীন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষামিত্ররা।  এই ঘটনার পরে আলিপুর সংশোধনাগারের পাশ দিয়ে যাতে কোনওভাবে আদি গঙ্গার দিকে না যাওয়া যায়, সেজন্য গার্ডরেল দিয়ে রাস্তাও আটকে দেয় পুলিশ। বসে ৫টি পুলিশ পিকেট। এত কিছুর পরও সন্দেহজনক ওই ব্যক্তি কীভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: Fire Brigade Recruitment Scam: দমকলে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ! নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হাইকোর্টের