কলকাতা: আইসোলেশন ওয়ার্ডের (Isolation Ward) অবস্থা কেমন? অক্সিজেন (Oxyzen) সরবরাহ ঠিকমতো রয়েছে তো? কার্ডিয়াক মনিটার ঠিকমতো কাজ করছে? খতিয়ে দেখলেন বিভিন্ন হাসপাতালের আধিকারিকরা।
করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি পর্যালোচনা: করোনা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই, কেন্দ্রের নির্দেশ মতো, রাজ্যের ৪০টি হাসপাতালে হল মক ড্রিল। চিনে আবার ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে করোনা। দেশেও একাধিক বিদেশ ফেরত ব্য়ক্তির করোনা ধরা পড়েছে। সোমবারই কলকাতা বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা ২ জনের random টেস্টে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনার বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতিতে, সমস্ত রাজ্য়গুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই নির্দেশমতোই এদিন, কলকাতা থেকে জেলা হাসপাতালগুলিতে হল মক ড্রিল। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকের ১০ তলাটিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড চিকিত্সার জন্য। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারী বলেন, “ওমিক্রনের নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট কী খেল দেখাবে জানি না। আরও ভয়ঙ্কর হবে, না কম ক্ষতিকারক। তাই চোখ রাখতে হবে। এখন ১০ তলাটা রেডি রাখছি। এরপর যা দরকার সেই মতো ফ্লোর খুলতে থাকব।’’
দক্ষিণ কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতালের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট, PSA প্লান্ট ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, দেখা হয়। ছিলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য় আধিকারিকও। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজ ও ব্যারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালেও চলে মক ড্রিল। অক্সিজেন প্লান্ট থেকে concentrator, কার্ডিয়াক মনিটর থেকে ভেন্টিলেটর, সব সরঞ্জাম সক্রিয় রয়েছে কিনা, পরীক্ষা করে দেখেন স্বাস্থ্য দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। অন্য়দিকে, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজে, করোনা চিকিৎসার জন্য় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮০ টি বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড। প্রস্তুত রয়েছে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট।
কেন্দ্রের নির্দেশ মতো, হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের সংখ্য়া কটা? অক্সিজেন সার্পোটযুক্ত আইসোলেশন ওয়ার্ডের সংখ্য়া কতগুলো? ICU, CCU-র বেড, ভেন্টিলেটরের সংখ্যা কটা? হাসপাতালে কতজন কোভিড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন এই সব তথ্য আপলোড করতে হবে কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে।
আরও পড়ুন: Winter Update: হঠাৎ ছন্দপতন, বছর শেষে ফিরবে কি শীতের আমেজ?