ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : পার্কস্ট্রিটে গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সন্দেহ। উদ্ধার হওয়া  ১ কোটি টাকার সঙ্গে হাওয়ালা যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।


সূত্রের খবর, ধৃত রাজেশ কাসেরা ওরফে রাজেশ আগরওয়াল পুলিশকে জানান, ক্যামাক স্ট্রিটের বেসরকারি সংস্থার থেকে ওই টাকা নিয়ে এসেছেন তিনি। যদিও ক্যামাক স্ট্রিটের ওই অফিস তা অস্বীকার করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন রাজেশ আগরওয়াল। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। 


সোমবার পার্ক স্ট্রিটে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police Special Task Force) ও গুন্ডাদমন শাখার অভিযানে উদ্ধার হয়  ১ কোটি টাকা। প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল ৫০ লক্ষ, পরে জানা যায় উদ্ধার হওয়া অঙ্কের পরিমাণ ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা। গ্রেফতার করা হয় রাজেশ আগরওয়াল নামে নিউ আলিপুরের এক বাসিন্দাকে।         


সূত্রের খবর, একটি গাড়িতে করে টাকা পাচার হচ্ছে বলে গোপন সূত্র মারফৎ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে। সেই মতো বিকেল থেকে পার্কস্ট্রিটের রাস্তায় নজর রাখতে শুরু করে সাদা পোশাকের পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ছাড়াও ছিলেন গুন্ডাদমন শাখার অফিসারেরা। WB 96K 1414 - এই নম্বরের গাড়ি দেখতেই পথ আটকায় পুলিশ। গাড়ির ডিকি খুলতেই দেখা যায় থরে থরে ৫০০ এবং ২ হাজার টাকার বান্ডিল সাজানো!            


সূত্রের খবর, রাজেশ কাসেরা ওরফে রাজেশ আগরওয়াল পুলিশকে জানান, গাড়িতে ৫০ লক্ষ টাকা আছে। 
কিন্তু, অত টাকা কোথায়, কী কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার সদুত্তর দিতে পারেননি! সন্দেহ হওয়ায় রাজেশকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কস্ট্রিট থানায়। আনা হয় টাকা গোনার যন্ত্র। কিছুক্ষণ পরই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের!
৫০ লক্ষ কোথায়!  অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় ১ কোটি টাকা!                


কিছুদিন আগেই গড়িয়াহাটেও গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা থেকে জেলা একাধিক জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছে যকের ধন (Kolkata Money Recovered)। গাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধার ছাড়াও বালিগঞ্জ, বড়বাজার সহ একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল অর্থ। পরপর অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজাও।