অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর : রোজ প্রতারণার নতুন নতুন ফাঁদ পাতছে জালিয়াতরা। একবার খপ্পরে পড়লেই ধনে-প্রাণে মারা পড়ার জোগার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সকলকে সাইবার প্রতারণার নতুন কৌশল 'ডিজিট্যাল অ্যারেস্ট'-এর বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারই মাঝে এবার সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন খোদ বিডিও। ভিডিও  কলের মাধ্যমে তিনি প্রতারণার শিকার হন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এক ব্লকের বিডিওর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সাইবার প্রতারকের বিরুদ্ধে ‌।


চলতি মাসে হোয়াটসঅ্যাপ কলে মুম্বই থেকে ট্রাই-এর নাম করে ফোন কল আসে তাঁর কাছে। দাঁতন এক ব্লকের বিডিও একেবারেই ধরতে পারেননি যে এটা প্রতারণা। কয়েক দফায় টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। চলতি মাসে বিডিও চিরঞ্জিত রায়কে ফোন করে বলা হয়, ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে আধিকারিকরা কথা বলছি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ কলে ভিডিও কলিং করে বলা হয় ট্রাই থেকে ফোন করা হয়েছে । তাঁর মোবাইল সিম কার্ডটি ব্লক হয়ে যাবে। 


প্রতারকরা বলে ' আপনার নামে আধার কার্ড ব্যবহার করে মুম্বইয়ে মোবাইলের সিম তুলে নানান রকম অসামাজিক কাজ হচ্ছ। এবং অবিলম্বে ওই ফেক সিম সহ মোবাইল গুলিকে বন্ধ করতে হবে বলা হয় ট্রাই-এর তরফে।' 


এরপর সেই কল আরেকজনের কাছে ট্রান্সফার করা হয়। বলা হয়, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।  whatsapp কল করা হয়।  ভিডিও কলিং করে  সেখান থেকে প্রতারকরা একেবারেই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিস এবং পুলিশ আধিকারিকদের মতো পোশাক পরে কথা বলেন।  বিডিও কিছুই বুঝতে না পেরে হত চকিত হয়ে  হয়ে যান।

তারপর নানা কথায় ভোলানো হয় ওই বিডিওকে। বলা হয় তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা সব টাকা সৎ পথে অর্জিত। ভয় দেখানো হয় তাঁকে। তারপর একটি লিঙ্ক পাঠানো হয় তাঁকে। বলা হয় ক্লিক করতে। সেই লিঙ্কে যেতেই ইউপিআই মারফত কয়েক দফায় এক লক্ষ টাকা ডেবিট হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট থেকে।


প্রথমে না বুঝলেও পরে বুঝতে পারেন , তিনি বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তখন সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ নথিভুক্ত করেন তিনি। যদিও সাইবার পিএস সূত্রে জানা গেছে, প্রতারকরা টাকা হাতাতে পারেনি দ্রুত সাইবার অনলাইনে কমপ্লেন করার জন্য। 


আরও পড়ুন :


 ছট পুজো উপলক্ষে ৭-৮ নভেম্বর কি ব্যাঙ্ক বন্ধ, আপনার শহরে কোন দিন ব্য়াঙ্কে ছুটি ?