কলকাতা : অশনির আশঙ্কায় লালবাজারে (Lalbazar) তৈরি হল ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার (Unified Command Centre)। এনডিআরএফ (NDRF), বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কোনও খবর পেলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্যই কলকাতা পুলিশের তরফে তৈরি করা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। 


কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি দল ও এনডিআরএফের ২টি দল রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে কাজ করছে এনডিআরএফ-এর মোট ১২টি টিম। এরমধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে মোট ৩টি টিম এবং দুই পরগনায় ৪টি টিম। লালবাজারের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইনও। 


এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের আরও কাছে অশনি। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। কলকাতায় চলছে দফায় দফায় বৃষ্টি। দিঘায় সমুদ্রে নামা নিষেধ করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফের টিম। দিঘায় রয়েছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য রয়েছে কড়া নজরদারি। পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার চালানোর পাশাপাশি, নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতজুড়ে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করছে এনডিআরএফ। প্রস্তুত স্বেচ্ছাসেবকরাও। পর্যটকদের আটকাতে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে সমুদ্র সৈকত।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া থেকে ২৬০ কিলোমিটার, বিশাখাপত্তনম থেকে ৩০০ কিলোমিটার, গোপালপুর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও পুরী থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।


পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে এগোচ্ছে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে। আজই পৌঁছবে উত্তর অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের কাছে। সমুদ্রে বাঁক নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিক্ষয় করে দুর্বল হবে অশনি। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ড ফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।