কলকাতা: দার্জিলিং পুরসভায় (Darjeeling Municipal Corporation) আস্থা ভোটে যোগ দিল না হামরো পার্টি (Hamro Party)। অনুপস্থিত থাকলেন হামরো পার্টির ১২ এবং বিমল গুরুংয়ের (Bimal Gurung) গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তিনজন কাউন্সিলর। তৃণমূলের দু'জন কাউন্সিলর আস্থা ভোটে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের দুই এবং অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কাউন্সিলররা।


আস্থা ভোটে যোগ দিল না হামরো পার্টি


২০২২-এর পুরভোটে দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয় হামরো পার্টি। নয়টি আসনে জেতে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পায় তিনটি আসন। দু'টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। নয় মাসের মধ্যেই হামরোর ছয় জন কাউন্সিলর অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন। এর পর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে নোটিস দেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ৬ জন কাউন্সিলর। তার প্রেক্ষিতেই আজ দার্জিলিং পুরসভায় আস্থা ভোট। 


দল তৈরির চার মাসের মধ্যেই চলতি বছর পুরভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ৩২ আসনের দার্জিলিং পুরসভায় বোর্ড গঠন করে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। তার ন'মাসের মধ্যেই হামরোর ছয় জন কাউন্সিলর অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় (Bharatiya Gorkha Prajatantrik Morcha) যোগ দেন। তার পর গত ২৪ নভেম্বর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে নোটিস দেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ছয় জন কাউন্সিলর।


এর পর, ১৫ দিনের মধ্যে মিটিং না ডাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর ফের ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানানো হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায়, বুধবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় বসেন কয়েকজন কাউন্সিলর। অনাস্থা আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে যায় হামরো পার্টি। তাদের দাবি, অনাস্থা আনতে গেলে এক তৃতীয়াংশ কাউন্সিলরকে নোটিস দিতে হবে।


আরও পড়ুন: Bharat Jodo Yatra: সকাল সকাল সাগর থেকে জল তুলে কপিল মুনি আশ্রমে পুজো, বাংলায় শুরু হল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’

যদিও সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশক চন্দ হামরো পার্টির আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দেন। জানিয়ে দেন, পুর-আইন মেনেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। এটা চেয়ারম্যানের ব্যর্থতা, যে তিনি মিটিং ডাকেননি। ফলে, বুধবার অনাস্থা প্রস্তাব আনতে কোনও বাধা উঠে যায়। 


২০২২ সালের পুরভোটে দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয় হামরো পার্টি। নয়টি আসনে জেতে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পায় তিনটি আসন। দু'টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরই, GTA-র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায়, গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কাউন্সিলর অমর লামা পদত্যাগ করেন। তার কয়েক মাসের মধ্যে বদলে যায় ছবি।


২০২২ সালের পুরভোটে দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয় হামরো পার্টি


দার্জিলিং পুরসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ১৬। দলবদলের ফলে হামরো পার্টির কাউন্সিলর সংখ্যা কমে হয় ১২। অন্য দিকে, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পক্ষে কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়। তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরও জানিয়ে দেন, তাঁরা অনীত থাপার দলকেই সমর্থন করবেন। ফলে, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ঝুলিতে এখন রয়েছে ১৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে বিজিপিএম ও তৃণমূল।