সনৎ ঝা, দার্জিলিং: নকশালবাড়িতে (Naksalbari) বন্ধ হয়ে পরে হাজার একরের চা বাগান (Tea Garden)। সামনে শ্রমিক অসন্তোষ থাকলেও, পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হাত রয়েছে বলে মনে করছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। উৎপাদন কমাতে, শ্রমিকদের একাংশকেই ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
নদী থেকে পাথর তোলায় বাধা দিতেই কি 'প্রতিশোধ'? চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কি বাগান বন্ধ করে দেওয়ার 'চক্রান্ত' করল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব? এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে নকশালবাড়ির চা বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে। নকশালবাড়িতে প্রায় ১৩০০ একর জুড়ে রয়েছে ত্রিহানা চা বাগান।
এখানে কাজ করেন প্রায় ১০০০ স্থায়ী শ্রমিক। চা বাগানের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বালাসন নদী। চা বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই নদী থেকে পাথর ও বালি তুলে রাখা হত চা বাগানে। আপত্তি জানিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয় চা বাগান কর্তৃপক্ষ। জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায় নদী থেকে পাথর তোলা। আর এরপরই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের 'রোষের' মুখে পরতে হয় চা বাগান মালিককে।
পুজোর সময় বোনাস নিয়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয় এই চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি তোলেন শ্রমিকরা। ১৮ শতাংশ বোনাস মালিকপক্ষকে দিতেই হবে বলে নির্দেশ দেয় জেলা শ্রম দফতর। কিন্তু ন্যুনতম ১৯ শতাংশ বোনাস দিতে হবে বলে দাবি করে শ্রমিকরা। আর এই নিয়ে অসন্তোষের জেরে শেষমেশ ১০ নভেম্বর লকআউট ঘোষণা করে চা বাগান কর্তৃপক্ষ।
মালিকপক্ষের অভিযোগ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্জল দের নেতৃত্বেই বাগানে অচলাবস্থা তৈরি করা হয়েছে। বোনাসের ছুতোয় শ্রমিকদের একাংশকে হাত করে, অচলাবস্থা তৈরি করা হয়েছে চা বাগানে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া না মিললেও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বাগান খুলতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে নর্থ বেঙ্গল স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন।