বালেশ্বর: ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পাঁচ দিন পর ট্র্যাকে ফিরছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। আজ দুপুরে নির্ধারিত সময় দুপুর ৩টে বেজে২০ মিনিটে হাওড়ার শালিমার থেকে ছাড়বে চেন্নাইগামী ট্রেনটি। এর পাশাপাশি, আজ চেন্নাই থেকে শালিমার পর্যন্ত একটি ওয়ান ওয়ে স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আগামীকাল সকাল ১০টা ৪০-এ ট্রেনটি শালিমার পৌঁছবে। চেন্নাই থেকে ছেড়ে মাঝে বালেশ্বর, খড়গপুর ও সাঁতরাগাছিতে দাঁড়াবে এই স্পেশাল ট্রেন।
করমণ্ডল বিপর্যয়ের পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও, এখনও দক্ষিণ ভারত অভিমুখে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। আজও বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। বাতিল ট্রেনের তালিকায় রয়েছে, বিশাখাপত্তনম-শালিমার এক্সপ্রেস, পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস, পুরী-শালিমার শ্রী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, চেন্নাই সেন্ট্রাল-শালিমার এক্সপ্রেস, হায়দরাবাদ-শালিমার ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস, চেন্নাই সেন্ট্রাল-হাওড়া মেল ও পুদুচেরি-হাওড়া এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস ঘুরপথে ঝাড়সুগুদা দিয়ে চালানো হচ্ছে।
অন্য দিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যায় ফের সংশোধন করেছে ওড়িশা সরকার। ২৭৫ থেকে বাড়িয়ে এ বার ২৮৮ দেখানো হল। রাজ্যের মুখ্যসচিব পিকে জেনা মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। জানান, নতুন করে হতাহতের সংখ্যা যাচাই করে দেখা হয়েছে। তাতেই বেড়েছে পরিসংখ্যান। ২৮৮-র মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২০৫টি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে এখনও মর্গে ৮৩ দেহ জমা রয়েছে, যেগুলি শনাক্ত করা যায়নি। জেনা বলেন, “সরকারের তরফে হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। অনেক ফোনও আসছে। আমরা আশাবাদী যে, বাকি দেহগুলিও শীঘ্রই শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং পরিবার-পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
এ দিকে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ ১.৯৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। ওড়িশার বাসিন্দা, দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯ জনের পরিবার-পরিজনদের হাতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ওই মাথাপিছু ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়।
দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর, বিভীষিকা কাটিয়ে, আজ থেকেই ছুটবে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শালিমার থেকে দুপুর ৩টে ২০ বেজে মিনিটে ছাড়বে চেন্নাইগামী ট্রেন। বাহানাগার দুর্ঘটনাস্থলে মেরামতির কাজ চলায়, সেখান দিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চলবে। অন্য দিকে, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮৮। ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি বহু মানুষ। মর্গে বেওয়ারিশ মৃতদেহের স্তূপ।
ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক দল ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর বিপ্লব চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল বালেশ্বরেই রয়েছে। আজ রেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তাঁরা। তার আগে ফরেন্সিক দলের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই।