কলকাতা: বিস্ফোরণে এগরায় মৃত্যুমিছিল, তবুও বিস্ফোরক আইনের ধারাই নেই এফআইআরে। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে আইপিসির ১৮৮, ২৮৬, ৩০৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টের ২৪, ২৬ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছে। আইপিসি, ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টে মামলা হলেও নেই এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টের ধারা।


যেখানে এগরার গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাও কেন নেই বিস্ফোরক আইনের ধারা? উঠছে প্রশ্ন। 
সরাসরি এনআইএ-তদন্ত এড়াতেই কি বিস্ফোরক আইনে মামলা নয়? এমনই সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ বেশ কিছু আইনে মামলা হলে, যেমন আর্মস অ্যাক্ট, এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট, UAPA-ধারায় মামলা হলে NIA-এর সেই মামলা নিতে সুবিধা হয়। কারণ ওই ধারায় মামলা হলে তার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হয়। ওই রিপোর্ট পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রয়োজন বুঝে সরাসরি NIA-এর হাতে মামলা দিতে পারে। কিন্তু অন্য ধারায় মামলা হলে আদালতের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।


এগরা বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA-তদন্ত চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে আদালতের কাছেও পৌঁছেছেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্য় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন এনআইএ হলেও আপত্তি নেই। সেখানে উনি, বিরোধী দলনেতা কী বললেন না বললেন তা অপ্রাসঙ্গিক।'


প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক সলিল ভট্টাচার্য বলেন, 'বিস্ফোরণের যে তীব্রতা দেখা গিয়েছে। তাতে ৯ জন লোক উড়ে গিয়ে পুকুরে দেহ মিলেছে। ১০০ মিটার দূরের বাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে। কারখানার সিলিং উড়ে গিয়েছে। এখনও ৪-৫ জন গুরুতরভাবে জখম। এই ধারাগুলি না দেওয়ার ব্যাপারে কৌশলগত পদক্ষেপ রয়েছে।'


এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে ঘটনাস্থলে সিআইডি (CID), ফরেন্সিক টিম (Forensic Team)। ভানুর খোঁজে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে পুলিশ। বিস্ফোরণের পর দলবল নিয়ে ওড়িশায় পালিয়েছেন ভানু বাগ, অনুমান পুলিশের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভানু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোনের টাওয়ার লোকেশন, খবর সূত্রের। নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য।


রামনবমীর অশান্তির মামলাতেও বিস্ফোরক আইনে এফআইআর না হওয়ায় উঠেছিল প্রশ্ন। এফআইআর (FIR) নিয়ে হাইকোর্টে (High Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য পুলিশ। তারপরেই রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি নিয়ে এনআইএ-র নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।


আরও পড়ুন: মোবাইল হারিয়েছে? এক ক্লিকেই ব্লক ফোন! খুঁজেও পাবে পুলিশ!