কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) গ্রেফতারি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এবার তৃণমূল নেতাদের (TMC Leaders) ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এল। উঠল মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবিও। ট্যুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya Tweet)।
ট্যুইটে ক্ষোভপ্রকাশ দেবাংশুর
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নেতাদের ক্ষোভ এবার প্রকাশ্যে। এই আবহে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ট্যুইট করে লেখেন, 'ফোঁড়া যখন পুঁজে ভরে এসেছে, অনতিবিলম্বে তাকে ফাটিয়ে দেওয়াই শ্রেয়, এমনটাই বলতেন ঠাকুমা। তাতে শরীর ভাল থাকে, শান্তিতে ঘুমানো যায়। একটি ফোঁড়ার জন্য গোটা শরীরকে কষ্ট দেওয়া বৃথা।'
এবিপি আনন্দকে ফোনে দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি তৃণমূল কংগ্রেসের ৯৯.৯৯ শতাংশ কর্মী যাঁরা সততার সঙ্গে, আদর্শ নিয়ে দলটা করেন, নেত্রীর আদর্শে বিশ্বাস করে তাঁদের আজ একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যাঁরা পকেটের পয়সা দিয়ে কাজ করেন। যে কর্মীরা বুথে যান, পতাকা লাগান, বিজেপি-সিপিমের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে এতদিন দরে দলটা করে এসেছেন, তাঁরা কেন অকারণে এই কালির দাগ নিতে যাবেন? এই কালির দায় কারও হয়ে থাকলে সেটা তাঁর নিজস্ব, ব্যক্তিগত। একই কথা আমরা দলগতভাবেও বারবার বলেছি। ফলে যাঁকে নিয়ে অভিযোগ, তিনি দোষী কি না তা তো আদালত বিচার করবে, আমার মনে হয় ততদিন পর্যন্ত যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে সরিয়ে দিলে দল, সরকার দায়মুক্ত হতে পারে।'
আরও পড়ুন: SSC Scam: ৫০০ গ্রামের ৬টি কঙ্কন, উদ্ধার সোনার বাট, কী কী মিলল অর্পিতার ফ্ল্যাটে?
তিনি আরও বলেন, 'এত প্রকল্প, মানুষের এত সুবিধা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায়, বুথে বুথে মানুষ একটা পরিবর্তনের স্বাদ পেয়েছেন। এই সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সব আমরা এক নিমেষে হারিয়ে ফেলব? পশ্চিমবঙ্গের বাইরে একাধিক রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পা দিচ্ছে। সেখানে ন্যাশনাল মিডিয়ায় এই ঘটনা কী খারাপ আলোচনা চলছে! সেখানে আমাদের প্রশ্ন করা হলে কী উত্তর দেব? তাই দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আমার আবেদন দল যেন সবসময় তার ৯৯ শতাংশ কর্মীর কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে আবার রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো যেতেই পারে, অসুবিধা নেই। কিন্তু আপাতত ফোঁড়়া যদি পুঁজে ভরে ওঠে সেটা ফাটিয়ে দিতে বলতেন ঠাকুমা। কেন একটা টনটনে ব্যথা থাকবেন! ফাটাতে যন্ত্রণা হয় বটে, কিন্তু এককালীন ব্যথা সেটা, পরে শান্তিতে ঘুম হয়। আমার মনে হয় দলের কর্মীদের এই শান্তিতে ঘুমটা অন্তত প্রাপ্য।'