সমীরণ পাল: মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধেই! দেগঙ্গার রাজুুকবেড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার থেকে মিলল ড্রামভর্তি চাল! চাল চুরি করে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে শিক্ষকদের তালা মেরে আটকে রাখলেন গ্রামবাসী। এমনকী, শিক্ষকদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের টিচার ইনচার্জ সমীরকুমার দে দীর্ঘদিন ধরে মিড ডে মিলের চাল চুরি করছেন। সেই অভিযোগে টিচার ইনচার্জ ও চৈতন্য পাল নামে এক পার্শ্বশিক্ষককে আটকে রাখেন তাঁরা।


টিচার ইনচার্জকে নিশানা করে পার্শ্বশিক্ষকের দাবি, তাঁর সই জাল করে মিড ডে মিলের চাল দিনের পর দিন চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও, টিচার ইনচার্জের অভিযোগ, চৈতন্য পাল সকুলের বই অন্যত্র বিক্রি করে দেন। আর মিড ডে মিলের দুর্নীতি তাঁর আমলে হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। স্কুলের শিক্ষকরা এই ধরনের দুর্নীতি যদি করে থাকেন ও তদন্তে তা প্রমাণিত হলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লকের মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।


মিড ডে মিল নিয়ে দফায় দফায় উঠে আসছে অভিযোগ। মিড ডে মিলের চাল চুরি করে শৌচাগারের মধ্যে রেখে দিয়ে এবার হাতেনাতে ধরা পড়লেন স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষকদের ধরে তালা মেরে আটকে রাখলেন গ্রামবাসী। এমন কী শিক্ষকদের মারধরও চলে। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজুক বেড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। 


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই স্কুলের টিআইসি সমীর কুমার দে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল থেকে চাল চুরি করছেন। পাশাপাশি মিড ডে মিলের চাল চুরি করে শৌচাগারে লুকিয়ে রেখেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহারও করেন না তিনি। এই নিয়ে আজ গ্রামবাসীরা একসঙ্গে স্কুলে যান। তালা দিয়ে স্কুলের টিআইসি সমীর কুমার দে এবং পার্শ্ব শিক্ষক চৈতন্য পালকে আটকে রাখেন। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায়। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যায় স্কুলের শৌচাগারের মধ্যে ড্রামে করে চাল চুরি করে সরিয়ে রেখে দিয়েছেন সমীর কুমার দে। এ বিষয় নিয়ে টিআইসি'র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক চৈতন্য পাল, তিনি বলেন, তাঁর স্বাক্ষর জাল করে দিনের পর দিন এই স্কুল থেকে চাল চুরি করে বিক্রি করা হচ্ছে '।