অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পুরসভার কাছেই প্রায়শই অভিযোগ আসে, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি (Flat Registration) হলেও কর মূল্যায়ন হচ্ছে না। সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality Corporation)। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রি করে আর দায় এড়াতে পারবেন না প্রোমোটাররা। সম্পত্তির মালিক এর নাম পুরসভাকে জানাবে প্রোমোটারই। না হলে করের টাকা গুনতে হবে তাঁকেই।
ফ্ল্যাটের নকশার অনুমোদন থেকে ফ্ল্যাট বিক্রি পর্যন্ত, পুরসভার কর মেটাতে হবে প্রোমোটারকে (Promoter)। ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির পরও, ক্রেতার নাম পুরসভায় নথিভুক্ত করাবে প্রমোটার। নয়তো, বিক্রির পর প্রমোটারকেই কর গুণতে হবে।
কর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সরলীকরণের ক্ষেত্রে, এই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality Corporation)। পুরসভার কাছে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ আসে, ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলেও, কর মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাই শুধুমাত্র রেজিস্ট্রি করিয়ে, আর দায় এড়াতে পারবেন না প্রোমোটাররা।
কলকাতা পুরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রেশন হলেই অ্যাসেসমেন্ট এবং মিউটেশন করে দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রি করার পরও যদি ক্রেতার নাম পুরসভাকে প্রোমোটার না জানান তাহলে ট্যাক্স দিতে
হবে তাকেই।
পুরসভা সূত্রে খবর, মিউটেশন এবং অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে শহরবাসীর সমস্যা দূর করতে, দুয়ারের সরকারের ধাঁচে ক্যাম্প করবে কলকাতা পুরসভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে যেখানে নতুন আবাসন তৈরি হচ্ছে, সেই সব এলাকায় ক্যাম্প করা হবে।
কলকাতা পুরসভার ফিরহাদ হাকিম, মেয়র, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে সারা বছর ধরে মিউটেশন, অ্যাসেসমেন্ট আপডেট হবে। 60 দিনে হতো এখন ৩০ দিনে হবে। যারা নতুন বাড়ি কিনছেন তারা যাতে সুবিধা পায় তার জন্য এটা করা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সম্পত্তি কর আদায়ের জন্যই মূলত, এই পথে হাঁটছে তারা। কারণ, কলকাতা শহরে এমন প্রচুর মানুষ আছেন, যারা ফ্ল্যাটে রেজিস্ট্রি করে বসবাস শুরু করলেও, কর মূল্যায়ণ করাননি। আর তাতেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে পুরসভাকে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর এই কর মূল্যায়নের সরলীকরণের পিছনে রয়েছে পুরসভার আয় বাড়ানোর আসল রহস্য।