কলকাতা: নোটবন্দির (Demonetisation) ৬ বর্ষপূর্তি আজ। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকা দেশে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দাবি ছিল কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে দেশে জাল নোট এবং কালো টাকা রোধ করা যাবে। পাশাপাশি, বাজারে নগদ লেনদেনের পরিমাণ কমবে বাড়বে ডিজিটাল (Digital) লেনদেন (Transaction)। কালো টাকা এবং জাল নোটের উদ্ধারে সাহায্য করবে নোটবন্দির এই পদক্ষেপ।                            


যদিও সরকারি নীতির মূল উদ্দেশ্য নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠল! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী নোটবন্দির পর বাজারে নগদের জোগান বেড়েছে অনেকটাই। গত ২১ অক্টোবর বাজারে নগদের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি ৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। নগদের পরিমাণের দিক থেকে এটা নতুন রেকর্ড। তবে নোটবন্দির ফলে অর্থনীতি পুনর্গঠিত হয়েছে, দাবি করেছিল মোদি সরকার। যদিও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।                                                     


এ প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সামগ্রিকভাবে নোটবন্দির পরিকল্পনা পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। কোনও কালো টাকা উদ্ধার করা যায়নি। উপরন্তু কালো টাকা সাদা হয়ে গিয়েছে। সব সময়ই বলেছি যে এটা ভুল পন্থা। দেশের মানুষের উপকার হবে না। আজ সেই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।" 


অন্যদিকে, সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর ভাষণবাজির কিছু মেলেনি। উল্টে গরিব মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক দশা বেহাল। কোনও সন্দেহ নেই। ভাষণ আর নাটকবাজির জুমলা হয়েছে। গরিবরা আরও বিপদে পড়েছেন। কোনও আচ্ছে দিন নেই।"   


আরও পড়ুন, রাজ্যে উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের


নোটবন্দির ছ'বছর পূর্তিতে ফের কেন্দ্রের সমালোচনা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার ট্যুইটারে তিনি হিন্দিতে লেখেন, 'কালো টাকা এল না, শুধু দারিদ্র্য এল, অর্থনীতি নগদমুক্ত হল না, দুব্রল হল না সন্ত্রাসী শক্তি, কোটি কোটি ছোট ব্য়বসা, রোজগার বন্ধ হয়েছে, 'রাজা' ৫০ দিনের কথা বলে অর্থনীতিকেই ধ্বংস করে দিয়েছেন'। 


এর পাল্টা, বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটারে লেখেন, ‘বিজেপি-র আমলে কালো টাকা ফেরত সেছে। দারিদ্র্য দ্রুত হারে কমেছে। দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এখন। কোটি কোটি ছোট ব্যবসা উঠে এসেছে, বেড়েছে রোজগার। নোটবন্দির মাধ্যমে কালো টাকার উপর যে আঘাত হানা হয়েছে, তাতে অনেকের রাগ হয়েছে বুঝতে পারছি। কষ্ট ফুটে উঠছে’।