ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : ৮ দিনে কলকাতায় ৫ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্য়ু। সরকারি মতে মৃতের সংখ্য়া ৩ হলেও, বেসরকারি মতে ইতিমধ্য়েই তা ৩৬-এ পৌঁছে গেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue Affected) সংখ্য়া ২৮ হাজার ৬৭ জন। ক্রমেই ভয়ঙ্কর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে নিচ্ছে মশা-বাহিত এই রোগ।
বাড়ছে মত্য়ু মিছিল। দিকে দিকে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া। এই পরিস্থিতিতে, হাসপাতালেও দেখা দিয়েছে বেডের আকাল। শুরু হয়েছে বেডের জন্য় হাহাকার। বেলেঘাটা ID-তে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে জ্বরে আক্রান্ত অজস্র রোগীদের ভিড়। এই মুহূর্তে বেলেঘাটা আইডিতে (Beleghata ID Hospital) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন।
রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গি-পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas)। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেব জানাচ্ছে, সেখানে আক্রান্তের সংখ্য়া, ৬ হাজার ৯২৫। এরমধ্য়ে বিধাননগর পুর এলাকা ও দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া সবথেকে বেশি। নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা ও রানাঘাটেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৬০ জন। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতা, মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি।
গোটা পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসক (Doctor) জয়দেব রায় জানিয়েছেন, সাবধানতা। সচেতনতা। দুটোই নিতে হয়। মানুষ প্রশাসন দুজনকেই সক্রিয় হতে হবে। চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের মত, সবাইকে সতর্ক হতে হবে। জল জমানো যাবে না। পরীক্ষা করাতে হবে দ্রুত। পাশাপাশি প্রশাসনকে গোটা পরিস্থিতি সামলাতে আরও উদ্যোগী হতে হবে বলেই মত তাঁদের। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে বাড়তি উদ্যোগও নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য় দফতর (West Bengal Health Department)। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের আরও সতর্কভাবে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য় সরকার। বলা হয়েছে, আরও বেশি করে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। প্রয়োজনে জেলাশাসকদের রাস্তায় নামতে হবে। স্বাস্থ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর ।
আরও পড়ুন- নেই কোনও ওষুধ, অত্যন্ত বেশি মারণ ক্ষমতা, নিপা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগে চিকিৎসকরা