কলকাতা: পুজোর (Durga Puja) মুখে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। চলতি বছরে শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি ডেঙ্গির সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেই উঠে এসেছে পরিসংখ্যানের নতুন ট্রেন্ড। চিকিৎসকদের মতে, গ্রামের চরিত্র বদলে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে এই ছবি। এদিকে, মেয়রের দাবি, ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব। 


এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলা এবং স্বাস্থ্য জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত, গোটা রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় ৬২ হাজার। গত এক সপ্তাহে নতুন করে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক ১৩ হাজার ৭১৬ জন। ২ নম্বরে কলকাতা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৪৯। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫২। 


ডেঙ্গি প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিয়ে পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার ফের নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। এদিকে, ডেঙ্গি প্রতিরোধে আধা শহরাঞ্চলে জল ও আবর্জনা নিষ্কাশনে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামতে চাইছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।                                                                                                      


পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের স্পেশাল কমিশনার সুক্তিশীতি ভট্টাচার্য বলেন, 'আধিকারিকদের ডেকে এনে কর্মশালা করছি। এই সমস্ত জায়গায় যাতে আবর্জনা নিষ্কাশন,জল নিষ্কাশন ঠিক নেই। যার ফলে বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। সেগুলো যাতে এবছর থেকেই শুরু করা যায়। প্রশাসনের থেকে পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের শেখানো ও সচেতন করা। আবর্জনা ঠিক ঠাক সরানো হচ্ছে না। কী করা উচিত।' 


আরও পড়ুন, সোমবার রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, উত্তুরে হাওয়ার শিরশিরানি পুজোর মধ্যেই


আগামী বছর ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এখন থেকেই আধা শহরাঞ্চলে জল ও জঞ্জাল নিষ্কাশনে ব্য়বস্থা নিচ্ছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। প্রত্য়েক মাসে কাজের পর্যালোচনা করা হবে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও জল ও আবর্জনা নিষ্কাশনে নজর দেওয়া হবে।