আবির দত্ত, কলকাতা: রাজ্যে আসছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) ডিজি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই অশান্তির অভিযোগ শুনে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি। কমিশন জানাল, অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে এমন স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি।
কী জানা গেল?
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে ইতিমধ্যে বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাজ্য, দু'পক্ষকেই জানানো হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও গোচরে আনা হয়েছে এটি। এদিন যে প্রেস রিলিজ এসেছে তাতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে রাজ্যের পরিস্থিতি একেবারে সরেজমিন দেখতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সে কারণেই আসছেন ডিজি। কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর, সে সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। ইতিমধ্যে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কেও বিশদ জানতে চাওয়া হতে পারে। মূল লক্ষ্য একটাই। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে যেন কোনও রক্তক্ষরণ না হয়। দু'সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হতে পারে। শুধু তাই নয়। এই ধরনের অশান্তিতে যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও আক্রান্ত হচ্ছেন, সে কথাও বলা হয়েছে প্রেস রিলিজে।
প্রেক্ষাপট...
৫ বছর আগে এক দিনের পঞ্চায়েত ভোটে,একাধিক অশান্তির ছবি উঠে এসেছিল জেলায় জেলায়। প্রাণ গিয়েছিল বহু। এই প্রেক্ষাপটেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট এক দফাতেই করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, সীমিত সংখ্যক পুলিশ দিয়ে কী ভাবে এক দিনে গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে? এই কারণে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোরও দাবি তুলেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এই সমস্ত দাবি দাওয়ার মধ্যেই, গত শুক্রবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা। কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না কমিশন। পাশাপাশি জারি হয়েছে ভোট প্রচারের নিয়মবিধি যা অনুযায়ী, কোনও মোটরবাইক ও সাইকেল র্যালি করা যাবে না। আপত্তিকর কোনও সামগ্রী নিয়ে সভা ও মিছিলে সামিল হওয়া যাবে না। কোন কোন শর্তে রাজনৈতিক দলগুলিকে মিটিং- মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে, গত শুক্রবার সেই নির্দেশনামা রাজ্যের সব পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের পাঠিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, একটি থানা এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দল বা তাদের প্রার্থী, দিনে সর্বাধিক তিনটি সভা করতে পারবেন। সভা ও মিছিলের জন্য, অন্তত ৩ দিন আগে থানা থেকে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। সকাল ১০ থেকে রাত ৮টার মধ্যে আবেদনপত্র থানায় জমা দেওয়া যাবে। আগে যে দল আবেদন করবে, তারাই পাবে অগ্রাধিকার। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করবেন ওসি। শুধুমাত্র আবেদনপত্র জমা দিলেই হবে না, ওসি-র অনুমতি মিললে, তবেই করা যাবে সভা ও মিছিল।
আরও পড়ুন:শেষপাতে সুস্বাদু ডেজার্ট, আম দিয়ে চটজলদি বাড়িতেই তৈরি আইসক্রিম