কলকাতা: ট্রেন না পাওয়ায় বাসেই দিল্লি-যাওয়ার প্রস্তুতি তৃণমূলের। কাল সকালেই বাসে করে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি তৃণমূলের। রাজ্যের এলাকায় পাইলট কার নিয়ে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কিছু হলে ছেড়ে কথা নয়, হুঙ্কার অভিষেকের । তৃণমূল সূত্রের খবর দিল্লি-যাওয়ার জন্য প্রায় ১০০টি বাস নেওয়া হচ্ছে।
দিল্লিযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুলকালাম বেধেছে। দিল্লিযাত্রার জন্য তৃণমূলের চাহিদা মতো বিশেষ ট্রেন পাওয়া যাবে না। শনিবার রাজধানী রওনা হওয়ার ঠিক আগের দিনই একথা জানিয়ে দিল রেল। বিষয়টির নেপথ্যে বিজেপির প্রতিহিংসা দেখছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাংলাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদি সরকার! এই নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে বিজেপিও।
নজরে ৩ অক্টোবর। একদিকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ওই দিন ইডির অফিসে না যাওয়ার চ্য়ালেঞ্জ....এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার ইডিকে কড়া নির্দেশের পর....মঙ্গলবার কী হয়, সেটাই দেখার।
আর এরইমধ্য়ে আরও এক বিতর্ক। বাংলার পাওনা বকেয়া আদায় করতে ৩-৪ হাজার লোক নিয়ে দিল্লিযাত্রা শুরুর ঠিক আগের দিন, তৃণমূলের চাহিদা মতো বিশেষ ট্রেন দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে আধিকারিক শেখ আল্লারাখার সই করা এই চিঠিতে IRCTC-র ইস্টার্ন জোনের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজারকে লেখা হয়েছে,৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার, বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য যে আবেদন জানানো হয়েছিল, সেই অনুযায়ী রেক এই মুহূর্তে অমিল।
IRCTC-কে পাঠানো পূর্ব রেলের আধিকারিকের রেক অমিলের চিঠি এবং তৃণমূলের তরফে রেক চেয়ে করা আবেদনপত্রের ইমেলের স্ক্রিনশট নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নির্ধারিত ডিপোজিট নেওয়ার পরেও, বিজেপি সরকার নিলর্জ্জভাবে বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করতে চাইছে না! পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদ করার অধিকার এবং প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রাখতে যেভাবে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা আসলে আতঙ্কের উজ্জ্বল নিদর্শন! বাংলার মানুষের সামনে তারা ভয়ে জড়সড় হয়ে গেছে, এটা দেখে ভালই লাগছে।
নেপথ্যে রাজনৈতিক জিঘাংসা? না কি আরও এক 'সেটিং'? প্রশ্ন সিপিএমের। ইতিমধ্যেই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন কলকাতায়। নেতাজি ইন্ডোরে তাঁকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।