ঋত্বিক প্রধান, দিঘা(পূর্ব মেদিনীপুর) : দিঘার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ । প্রাথমিকভাবে দিঘা থেকে শঙ্করপুর হয়ে তাজপুরের মধ্যে দিয়ে মন্দারমণিকে পাশে রেখে সোজা এই রাস্তা চলে আসবে শৌলা পর্যন্ত । পরবর্তীকালে এই মেরিন ড্রাইভ আরও ঘুরে গিয়ে মিশতে পারে হলদিয়ায় । আপাতত দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের কাজ প্রায় আশি শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গেছে । বাকি কাজ শেষ করতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর । পর্যটকদের কথায়, মেরিন ড্রাইভ হলে পর্যটনের কাছে অনেকটাই গুরুত্ব বাড়বে এই এলাকার। দিঘা থেকে সোজাসুজি সমুদ্রের পাড় ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও । 


সেক্ষেত্রে লাভবান হবেন পর্যটকরাই । কারণ, পর্যটকরা একসাথেই মেরিন ড্রাইভ ধরে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র দেখে নিতে পারবেন । একদিকে যেমন তাঁদের সময়ও বাঁচবে, তেমনই একটি পর্যটন কেন্দ্রে এসে বাকিগুলি উপরি পাওনা হিসেবে পেয়ে যাবেন।


এনিয়ে পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বাঁধছেন । কারণ, মেরিন ড্রাইভের ফলে একদিকে যেমন সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রজুড়ে একটি রাস্তা থাকবে, তখন পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়বে অনেকটাই । আর পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লেই বাড়বে বিক্রি।


এনিয়ে রামনগরের বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বার বার দিঘায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকে মেরিন ড্রাইভের কথা বলেছেন । সেইমতো আমরা মেরিন ড্রাইভের প্রাথমিক পর্যায়ে দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত রাস্তার কাজ প্রায় আশি শতাংশ শেষ করে ফেলেছি। মেরিন ড্রাইভের মাঠে রয়েছে তিনটি ব্রিজ আর এই তিনটি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় এক একশো আশি কোটি টাকা । ইয়াসের তাণ্ডবের ফলে বেশ খানিকটা ক্ষতি হয়েছে এই সমস্ত ব্রিজের । তাছাড়া মেরিন ড্রাইভের রাস্তার কাজ ডিএসডিএ-র তত্ত্বাবধানে চলছে। আমরা আশা করছি, এক বছরের মধ্যে এই সমস্ত কাজ শেষ করে ফেলতে পারব।


যদিও এই মেরিন ড্রাইভ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ  এবং সেখান থেকে টাকা কামাচ্ছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা।