রঞ্জিৎ সাউ, নিউটাউন: শিক্ষকদের যেভাবে বদলি করা হয়েছে তাঁরা কষ্টের মধ্যে আছেন। প্রতিবাদে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদেরকে জব্দ করার চেষ্টা চলছে। শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়িতে গতকাল রাতে পুলিশি হানা নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শিক্ষক আন্দোলনের নেতা ও শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলামকে ঘিরে রাতভর নাটক। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ বেলেঘাটায় মইদুলের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করতে যায় বিধাননগর নর্থ ও বেলেঘাটা থানার পুলিশ।
শিক্ষক নেতার সঙ্গে পুলিশের তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। শেষপর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার না করেই ফিরে যান পুলিশ কর্তারা। শিক্ষক নেতার শ্বশুরবাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এই নিয়ে বিজেরি রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, বলার কিছু নেই। এই সরকার যে ধরনের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে কারও কথা শুনতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, কর্মচারীরা বঞ্চিত সবদিক দিয়ে। তাঁরা বিক্ষোভ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। একই আন্দোলন বিশ্বভারতীতে হলে এই সরকার সমর্থন করছে। টিচার্স, কর্মচারী আর পুলিশের লোকেরা যদি আন্দোলন করে নিজের অধিকারের জন্য তখন তাদের ট্রান্সফার করা হচ্ছে ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে তুলে আনা হচ্ছে।
দিলীপ যোগ করেন, মিডিয়ার লোকেরা যদি সরকারের সমালোচনা করলে রাত একটার সময় তাঁকে তুলে আনা হচ্ছে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে কেউ সমালোচনা না করে। যা ইচ্ছা করতে পারেন।
এই প্রশাসনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশ-প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা না করে পার্টির সেবা করছে। সমাজের চোর-ডাকাত-গুন্ডা-বদমাশ-টেরোরিস্টদের দাদাগিরি চলছে। আর তার প্রতিবাদ করলে আমাদের ডান্ডা চলছে।
দিলীপের দাবি, টিচার্সদেরকে যেভাবে ট্রান্সফার করা হয়েছে তারা কষ্টের মধ্যে আছে তাঁরা। প্রতিবাদ করতে এসেছেন। বিষ খেয়েছেন। এর চেয়ে দুরাবস্থা আর কি হবে। এখন যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদেরকে জব্দ করার চেষ্টা চলছে।