কলকাতা : বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে দফায় দফায় দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার কেষ্টপুরের জগৎপুরে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবব্রত হালদারের সমর্থনে প্রচারে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
কোভিড বিধি ভেঙে ৫ জনের বেশি সমর্থক নিয়ে প্রচারের অভিযোগে তাঁকে আটকায় পুলিশ। এরপর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নীহার সরকারের সমর্থনে প্রমোদগড়ে প্রচারে গিয়েও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কর্মীরাও সেখানে বিক্ষোভ দেখায়। আজ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ দাস ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী স্বপন শিকদারের সমর্থনেও প্রচার করেন দিলীপ ঘোষ। রাস্তার ধারে চায়ের আসরে চলে জনসংযোগ। ভয় দেখিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা চলছে। নিরপেক্ষ ভোট হলে বিজেপি জিতবে। রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ। মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন :
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন শান্তনু ঠাকুর
এবারই শুধু নয়, আগেও এই একই অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় দিলীপ ঘোষের। গত ১২ জানুয়ারির কথা। প্রচারে বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেদিনও সকালে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে বড়তোড়িয়ায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন তিনি। প্রচারে ভিড় হলেও দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, তাঁরা ৫ জনই এসেছিলেন। বাড়তি লোক তাঁদের দেখে এসেছে রাস্তায়, তাতে তাঁরা কী করতে পারেন।
তার ঠিন আগের দিনও আসানসোলে এক চোট ঝামেলা হয় পুলিশের সঙ্গে। দিলীপ ঘোষের প্রচার ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওেআসানসোল। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। মিছিলে পাঁচজনের বেশি থাকার অভিযোগে, বিজেপি নেতা, কর্মীদের পুলিশ আটকালে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানায়, কোভিড বিধি অমান্য করে পাঁচের বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচারে বেরোন দিলীপ ঘোষ। সেই কারণে আটকানো হয়।