সত্যজিৎ বৈদ্য কলকাতা: গভীর রাতে নিমতলা ঘাটের কাছে (Nimtala Ghat Fire) বিধ্বংসী আগুন। আগুনে ভষ্মীভূত কাঠের গোলা সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি (Kolkata Fire Incident)। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কাঠগোলা রোডের একটি বাড়ির দোতলায় আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত আগুন ছড়ায় পাশের কয়েকটি বাড়ি ও কাঠের গোলায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বাড়ি গুলিতে ৫/৬টি পরিবার বাস করত। আগুন ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসায় কেউ হতাহত হননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।


একের পর এক ঘটনা...
শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বার বার অগ্নি-নিরাপত্তা বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষেই যেমন বেহালার বিএল সাহা রোডে একটি গুদামে আগুন লেগেছিল। সে বারও গভীর রাতে  ওই গুদামে আগুন লেগেছিল। রাত ২টো নাগাদ গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের রাতভরের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরদিন সকালে দমকলের ২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কাগজ, প্লাস্টিক, ফাইবারের মতো দাহ্য পদার্থ ঠাসা গুদামে অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি, চাঁদনি চকে এলআইসি বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল। সন্ধের দিকে ঘটনাটি ঘটায় তখন বেশিরভাগ কর্মচারীই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু রিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে আরও ২টি ইঞ্জিন আনতে হয়। জানা গিয়েছিল, এলআইসি বিল্ডিংয়ের চার তলায় আগুন লাগে। দমকলের ধারণা, এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই ঘটনাটি ঘটে। আর তার পর সেই আগুন  ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় একটি পাইপের গুদাম ছিল। অগ্নিকাণ্ডের ফলে সেখান থেকেও প্রচুর কালো ধোঁয়া ছড়াতে শুরু করে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনও। একই তলায় এলআইসি-রও একটি গুদাম ছিল। কিন্তু কোনওক্রমে সেটি  বেঁচে যায়। সার্বিক ভাবে শেষ পর্যন্ত বড় কোনও বিপদ হয়নি। তবে ওই ঘটনার পর দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথমত, এদিন যখন আগুন লাগে, তখন অফিস-টাইমের শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে লোকজনের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু এই ধরনের দুর্ঘটনা অন্য সময়ে হলে কী ঘটতে পারত, কতটা ক্ষয়ক্ষতি হত, ভেবেই আঁতকে উঠেছিলেন অনেকে। দ্বিতীয়ত যে এসির শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা জানা যাচ্ছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। বিদ্যুৎ-সংযোগের দিকটিও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিই কি যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয় না? যার ফলে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে চলেছে? প্রশ্ন উঠছেই।


আরও পড়ুন:সপ্তাহান্তে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত, আজ কেমন থাকবে দুই বর্ধমানের আবহাওয়া ?